ঊষার আলো প্রতিবেদক : দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমনে বর্তমানে খুলনা শীর্ষে অবস্থান করছে। খুলনা জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভার সিধান্তক্রমে ১৩ জুন হতে খুলনা জেলায় করোনা সংক্রমন বৃদ্ধির প্রক্ষিতে এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তারই পরিপ্রক্ষিতে কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনেই যে উদ্দেশ্য অর্থ্যাৎ সংক্রমন রোধে কঠোর বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হয়েছে তার কোনই প্রভাব পড়েনি দৌলতপুর জনজীবনে। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করলেও অধিকাংশ ব্যক্তিদ্বয় নিজ নিজ এলাকার চায়ের দোকানে, মোড়ের আড্ডায় গাঁ ঘেষে বসে গল্পে মগ্ন। যেন তাদের ঘরের ভিতর বসে থাকতে দম বন্ধ হয়েছে আসছে। খুলনা যশোর মহা-সড়কে চলাচলরত মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক গুলোতে পূর্নাঙ্গ যাত্রীবহন না করে অর্ধেক যাত্রীবহনের নির্দেশনা আরোপ করলেও সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধে এ নিয়মের সম্পূর্ন অবজ্ঞা করে পূর্নাঙ্গ যাত্রীবহন করেছে পরিবহনের চালকেরা। তাছাড়া বিকাল ৫টা পর কোন দোকান, শপিংলমল, রেস্তেরা ইত্যাদি খোলা রাখা যাবে না, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান, শপিংলমল, রেস্তেরা খোলা থাকলেও প্রতিষ্ঠান গুলোতে বেশ জনসমাগম পরিলক্ষিত হয়েছে আর মুখে তেমন মাস্কও নজরে আসেনি। তাছাড়া দৌলতপুরে হাজী বিরানী হাউজ, ঢাকা বিরানী হাউজ, নান্না বিরানী হাউজসহ উল্লেখযোগ্য হোটেল রেস্তরাতে ক্রেতাদের জামাই আদর করে বসে খাওয়ানো হচ্ছে যেখানে আদেশে বলা হয়েছে বসে খাওয়া নিষিদ্ধ। খুলনা করোনা পরিস্থিতির অবস্থার চরম অবনতির কারণে সাতদিনের যে বিধিনিষেধ চলছে সরেজমিনে, দৌলতপুর সকাল হতে শুরু হওয়া পাইকারী-খুচরা বাজার, মাছ-মাংসের দোকান, থানাধীন বিভিন্ন চায়ের দোকানে, পাড়ার মোড়ে মোড় উঠতি বয়সি তরুন জমানো আড্ডা, সর্বত্র মাস্ক ব্যবহারে অনীহা, ইজিবাইক বা মাহেন্দ্র অর্ধেক যাত্রী বহন করার কথা বললেও পূর্ণ যাত্রী বহনসহ নানাবিধ কারণে কঠোর লকাডাউনের প্রথম দিনে স্বাস্থ্যবিধির মানার অবস্থা ছিল ঢিলেঢালা। দৌলতপুরস্থ গ্রাম মফস্বলের অধিকাংশ জায়গায় জনাসমাগম, সকলেই মাস্ক ছাড়া, নিরাপদ দূরত্ব বাজায় না রেখে ইচ্ছা-স্বাধীন মতো ছুটছে সকলেই। নেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা। তবে ভূলে গেলে চলবেনা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যুর ঝুঁকি আছে। সুতারাং সুধী সমাজের অভিমত নিজের এবং নিজের পরিবারের কথা ভেবে সকলের উচিত সরকার ঘোষিত সাত দিনের বিধি নিষেধ মেনে চলা।
নাগরিক নেতা শাহিন জামাল পন বলেন, আমরা জ্ঞানী, বিবেকবান মানুষ। জানি মাস্ক আর নিরাপদ দূরত্ব তথা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা সংক্রমনে ঝুঁকি আছে, এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে তবুও আমরা এতটুকু সচেতন নয়। সুতারাং আমাদের নিজের এবং পরিবারের কথা ভেবে, সাতদিনের বিধি নিষেধ যথাযথভাবে পালন করা উচিত। তবে দৌলতপুরে বিকাল ৫টার পর সকল দোকানপাট বন্ধে করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড দেবাশীষ বশাক জানান, গতকার হতে সমগ্র খুলনাকে সাত দিনে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সুতারং সংক্রমন রোধে সরকারী স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থান নেয়া হবে এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে স্বাস্থ্যবিধির উপর ভ্রাম্যমান কোর্ট পরিচালনা করে স্বাস্থ্যবিধির উপর জরিমানা করা হয়েছে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)