UsharAlo logo
রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস :সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান

koushikkln
নভেম্বর ২৫, ২০২১ ৬:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলেরা ডেস্ক : কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও বিভিন্ন দেশে নারী ও মেয়েশিশুর প্রতি নানা ধরনের সহিংসতা, বিশেষ করে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে চলেছে। কোভিড সংকটের মধ্যেও সহিংসতার এই ছায়ামহামারি বেড়ে চলেছে। এই সহিংসতাকে বন্ধ করতে বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ‘ধর্ষণ,নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ-আসুন নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি’। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস ও পক্ষকালীন প্রচারাভিযান উদযাপন উপলক্ষে মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে জনউদ্যোগ খুলনা ,বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, আমরাই পারি জোট, লেখিকা সংঘ, ব্র্যাক, খুলনা মহিলা সমিতি, কারিতাস, ছিন্নমুল মানব কল্যান সোসাইটি, মাসাস, সি ডাব্লিউ এফ, কে এম এস এস, দলিত, এডাব খুলনা, জয়ী মহিলা সংস্থা সহ ২০ টি সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন নারীনেত্রী এ্যাড: শামীমা সুলতানা শীলু। সঞ্চালনা করেন এড মোমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার, জনউদ্যোগের উপদেষ্ঠা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন গুহ, সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান খোকন, নিরাপদ সড়ক চাই এর সভাপতি ইকবাল হোসেন বিপ্লব, ছায়বৃক্ষের মাহাবুব আলম বাদশা, এডাব খুলনার রেজাউল করিম, লেখিকা সংঘের মুক্তা জামান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ইসরাত আরা হীরা, সি ডাব্লিউ এফ এর সমন্বয়কারী আজিজুর রহমান ছবি, নান্দিক একাডেমীর জেসমিন জামান, নারীনেত্রী শিরিন পারভীন, হেলোনা খাতুন, কারিতাসের ¯িœগ্ধা মৌ ঘোষ, রূপান্তরের মোস্তাফিজুর রহমান, কে এম এস এস এর বজলুর রহমান, নাজমা ইসলাম, মমতাজ সুলতানা কবিতা, ইন্দ্রানী দত্ত, কামরুল ইসলাম, রেহানা মোরতুজা, আইরিন ষ্টিভেন্স, লাভলী বিশ্বাস, সালমা ইসলাম, দেবশ্রী সিংহ রায়, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতার হার দিন দিন বেড়ে চলেছে; বিশেষত ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা প্রতিদিন চোখে পড়ছে। পরিবারের সদস্য, নিকটাত্মীয় দ্বারা নির্যাতনের ঘটনাও অহরহ ঘটছে। দেখা যাচ্ছে নারী ঘরে বাইরে কোথাও নিারাপদে নেই। কখনও কখনও নারীর প্রতি সংঘটিত নির্যাতনের দায়ভার নারীকেই নিতে হচ্ছে- দোষারোপ করা হচ্ছে নারীকে। নারীর সুরক্ষায় দেশে যে আইন বিদ্যমান সেসব আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। যার ফলে নির্যাতনকারীরা নির্যাতন করতে আর ভয় পায় না। আর ধরা পরলেও আইনের ফাঁকফোকর গলে তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা আমাদের রক্ষণশীল সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি। যা নারীর প্রতি নেতিবাচক এবং তাদের ওপর সহিংসতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। এ সমস্যা উত্তরণের অন্যতম উপায় হতে পারে যদি নির্যাতিতা বান্ধব দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য আইনের প্রচলন করা যায়। নীতি নির্ধারণের সর্বোচ্চ শক্তি কাজে লাগিয়ে কয়েকটা অপরাধীর শাস্তি বিধান ও কার্যকর হলে চিত্র অনেকটা পাল্টাবে। তাছাড়া সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের যেসব সুবিধা রয়েছে বিশেষত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার। নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের হট লাইন সার্ভিস প্রভৃতি সে সম্পর্কে বড় পরিসরে জনগণের মাঝে জানানো প্রয়োজন। একইসঙ্গে সমস্যা উত্তরণে দীর্ঘকালীন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো প্রথম স্থান, যেখানে নারীকে সম্মান করতে শেখা সম্ভব। অন্যথায়, নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা থামানো যাবে না। উপরন্তু এ ধরনের সমস্যা এক রূপ থেকে অন্য রূপে বদলাবে।