UsharAlo logo
রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাইকগাছায় জলাবদ্ধতা নিরসনে দখল মুক্ত হলো সরকারি খাস খাল

koushikkln
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ ১০:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : পাইকগাছায় ১শ একর আয়তনের সরকারি খাল দখল মুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে অভিযান চালিয়ে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের ফেদুয়ারাবাদ উঠখালী সরকারি খালটি দখল মুক্ত করা হয়। জনসাধারণের পানি সরবরাহের সরকারি এ খালটি এলাকার কতিপয় ব্যক্তিরা অবৈধভাবে দখলে রেখে বাঁধ ও নেট-পাটা দিয়ে মাছ চাষ করে আসছিল। অবশেষে দখল মুক্ত করায় পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি এলাকার হাজার হাজার একর জমির আমন ফসল উৎপাদনে স্বস্তি ফিরে এসেছে এলাকাবাসীর।

সূত্রমতে, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের মধ্যভাগে ফেদুয়ারাবাদ উঠখালী নামে ১শ একর আয়তনের একটি সরকারি খাল রয়েছে। অত্র খাল দিয়ে ইউনিয়নের বৃহৎ এলাকা পানি সরবরাহ হয়ে থাকে। খালটি ফেদুয়ারাবাদ এলাকার নলিত বিশ্বাসের ছেলে সন্তোষ বিশ্বাস, অসিম বাছাড়ের স্ত্রী ডলি বাছাড়, আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুস সোবহান, সোহরাব গাজীর ছেলে আব্দুর রহমান ও ওয়ায়েজ করনী, চক কাওয়ালীর আনোয়ার গাজীর ছেলে শাহিনুর রহমান, কাটাবুনিয়ার সাজ্জাদ গাজীর ছেলে আব্দুর রহমান গাজী, কালিদাসপুরের ইয়াকুব আলী গাজীর ছেলে শাহাদাত গাজী, ছবেদ আলী গাজীর ছেলে কুবাত গাজী এবং কানুয়ার ডাঙ্গার ফয়েজউদ্দীন ঢালীর ছেলে কামাল ঢালী তাদের মৎস্য ঘেরের সামনের অংশ স্ব স্ব ব্যক্তিরা বাঁধ ও নেট-পাটা দিয়ে অবৈধ ভাবে দখল রেখে মাছ চাষ করে আসছিল। এর ফলে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এলাকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। বিশেষ করে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও ভারী বর্ষণে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। হুমকির মুখে পড়ে হাজার হাজার একর কৃষি জমির আমন ফসল। অবশেষে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে খালের বাঁধ ও নেট-পাটা অপসারণ করার মাধ্যমে সরকারি খালটি দখল মুক্ত করে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্বদেন উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা মোঃ আবু আলিয়াস, ইউপি সদস্য এস্নোয়ারা বেগম, মোঃ আনিসুর রহমান, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক আলতাফ হোসেন, আনসার কমান্ডার আবু হানিফ, ইউনিয়ন লিডার মোঃ ফয়সাল হোসেন, আনসার সদস্য আরিফুল হক ও বশির আহমেদ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, এলাকার পানি সরবরাহের জন্য সরকারি খালটি ইজারা না দিয়ে উন্মুক্ত রাখা হয়। কিন্তু এলাকার কতিপয় ব্যক্তিরা খালটি অবৈধভাবে দখলে রেখে বাঁধ ও নেট-পাটা দিয়ে মাছ চাষ করে আসছিল। এর ফলে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খালটি দখলমুক্ত করার ফলে এখন থেকে পানি নিস্কাসন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি আমন ফসল ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না।