ঊষার আলো ডেস্ক : পদ্ম সেতু চালু হওয়ায় দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে মোংলা বন্দরের গুরুত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। মোংলা বন্দরের ড্রেজিং প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হলে আবারও অচল হয়ে পড়ার আশঙ্খায় বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর হলেও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে এ বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম এবং অপার সম্ভবনার কেন্দ্রস্থল।
উন্নয়ন কমিটি মনে করে একটি বন্দরের প্রধান চালিকা শক্তি হলো তার চ্যানেল বা নৌপথ। সেই চ্যানেলটি যদি সুরক্ষিত না থাকে তাহলে বন্দরের পণ্যবাহী বড় বড় বিদেশী জাহাজের আগমন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বন্দরের আমদানি-রপ্তানিসহ জাতীয় অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। পদ্ম সেতু চালু হওয়ার পরে এ বন্দর ব্যবহারের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। মোংলা বন্দরের চ্যানেলের ইনার বার ড্রেজিং কাজ বন্ধ হলে মোংলা বন্দর অচল হয়ে যাবে ও বন্দর কেন্দ্রিক ইপিজেডও অচল হয়ে পড়বে। মোংলা ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠানÑরামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র অচল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্দরকে কেন্দ্র করে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা নির্বাহের উপরও পড়বে বিরূপ প্রভাব। মোংলা-খুলনা রেল লাইন, খানজাহান আলী বিমান বন্দর ও মোংলা ইকোনমিক জোন থেকে পাওয়া যাবে না কোনো কাক্সিক্ষত সুফল।
খুলনা অঞ্চলের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে মোংলা বন্দরের ড্রেজিং প্রকল্প চালু করতে সকল অপতৎপরতা বন্ধ করার আহŸান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান, মহাসচিব কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মাদ আলী, সহ-সভাপতি শাহীন জামাল পন, মোঃ নিজাম-উর রহমান লালু, জেড এ মাহমুদ ডন, মিজানুর রহমান বাবু, অধ্যাপক মোঃ আবুল বাসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বদিয়ার রহমান, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, চৌধুরী মোঃ রায়হান ফরিদ, চৌধুরী মিনহাজ উজ-জামান সজল, আরজুল ইসলাম আরজু, মামনুরা জাকির খুকুমনি, কোষাধ্যক্ষ মিনা আজিজুর রহমান, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোশাররফ হোসেন,যুগ্ম মহাসচিব এড. শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, মোঃ মনিরুজ্জামান রহিম, মিজানুর রহমান জিয়া, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মীর বরকত আলী প্রমুখ।