UsharAlo logo
শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘যেমন খুশি হয়েছি, তেমনি চিন্তায়ও পড়ে গিয়েছিলাম’

usharalodesk
অক্টোবর ১৭, ২০২৩ ১:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। মডেলিং ও নাটক দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও বর্তমানে সিনেমা নিয়ে বেশি ব্যস্ত। সিনেমা নিয়ে বুসান চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে এলেন। দেশেও সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত একটি সিনেমা। এসব প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।

* বুসান চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে এলেন। অভিজ্ঞতা কেমন?

** এশিয়ার অন্যতম বড় চলচ্চিত্র উৎসব বুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এর দুটি বিভাগের প্রতিযোগিতায় এবার বাংলাদেশ থেকে তিনটি সিনেমা অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে ইকবাল হোসেন চৌধুরীর ‘বলী’ সিনেমাটি সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কারও জিতেছে।

এছাড়া আমাদের আরেকটি সিনেমা ‘অটোবায়োগ্রাফি’র প্রথম প্রিমিয়ার করা হয়েছে এবারের উৎসবে। বিভিন্ন দেশ থেকে নির্মাতা, কলাকুশলী এসেছেন। তাদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, সময় কাটানো-সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করেছি পুরো সময়টা।

* ‘অটোবায়োগ্রাফি’ প্রদর্শনের পর কেমন প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন?

** ‘অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমার গল্প আমাদের (তিশা ও ফারুকী) ভীষণ আবেগের। তাই এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার নিয়ে আমরা খুব এক্সাইটেড ছিলাম। সিনেমাটি প্রদর্শনের পর দর্শক এবং বিচারকমণ্ডলীর কাছে অনেক প্রশংসা   পেয়েছি।

এটা ঠিক, আমরা পুরস্কৃত হইনি; কারণ প্রতিযোগিতায় আমাদেরটি ছাড়া আরও নয়টি সিনেমা ছিল। তাই বিচারকদের জন্য ভালো-মন্দ মিলিয়ে একটা সেরা সিনেমা পছন্দ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। মোটকথা, দেশের একটা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপন করা সব সময়ই আনন্দের।

* ব্যক্তিজীবনের গল্প নিয়ে সিনেমা তৈরির কথা মাথায় এলো কীভাবে?

** আমরা অনেকদিন ধরেই চাচ্ছিলাম এ বিষয়ে সিনেমা বানাতে। কারণ ‘অটোবায়োগ্রাফি’র গল্প এমন একটা ইস্যু নিয়ে, যেটা সমাজে প্রায়ই অবহেলিত হয়ে যায়। দেখা যায়, অন্য সব বিষয়ে কথা হচ্ছে কিন্তু এটা নিয়েই হচ্ছে না। এটা আমাদের জীবনের ভীষণ প্রাইভেট একটা বিষয়ও বটে।

এ সিনেমার চিত্রনাট্যও আমরা দুজন মিলে লিখেছে। আপাতত সিনেমার গল্প নিয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে এতটুকু বলতে পারি এ গল্পটা জানা, বোঝা এবং এ ইস্যু নিয়ে কথা বলার দরকার। সেই আলোচনা বা কথা বলার ভাবনা থেকেই এ সিনেমা তৈরি।

* আপনার অভিনীত ‘মুজিব’ সিনেমাটি চলছে দেশের প্রক্ষাগৃহে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

** বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। বিশেষ করে আমার আর শুভর জুটিকে পছন্দ করছে সবাই। কারণ আমি এখানে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের পরিণত বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছি। সিনেমা কিংবা বাস্তব প্রেক্ষাপটেও এ চরিত্রের গুরুত্ব অনেক বেশি। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গমাতার বিশেষ অবদান রয়েছে।

যা অনেকে এ সিনেমায় দেখার পর জানতে পেরেছে। তবে শুরুতে আমি খুব ভয়ে ছিলাম। কারণ এ চরিত্রটির সঙ্গে দায়িত্বও ছিল। এটাকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করার দায়িত্ব।

* বঙ্গমাতার চরিত্রে অভিনয়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?

** এ সিনেমায় অভিনয়ের আগে প্রথমে যখন জানতে পেরেছি এ চরিত্রের জন্য আমাকে পছন্দ করা হয়েছে, আমি একই সঙ্গে যেমন খুশি হয়েছি, তেমনি চিন্তায়ও পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অন্দরে থাকতেন। যার কারণে তার কোনো ভিডিও রেফারেন্স আমাদের কাছে ছিল না।

তবে শুটিং শুরুর আগে এ সিনেমার সব অভিনয়শিল্পীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একটা মিটিং ছিল। সেখানে তিনি যেভাবে তার মাকে বর্ণনা করেছেন, সেটা ভীষণভাবে সাহায্য করেছে। তবে রেফারেন্স না থাকার একটা ইতিবাচক দিকও আছে। আর তা হলো আমি যেভাবে পর্দায় দেখাব, সেটাই দর্শকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে।

* নতুন কোনো সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন?

** এখনো না। কথাবার্তা চলছে বেশ কিছু কাজের। তার মধ্যে সিনেমা আছে, ওটিটির কাজ আছে। ব্যাটে-বলে মিললেই হয়তো চূড়ান্ত হবে। কিন্তু এখন আমি একই সঙ্গে একজন মা, প্রযোজক এবং অভিনেত্রী। তাই দায়িত্ব অনেক বেশি। সব দিক সামলে, বুঝে-শুনে তবে সিদ্ধান্ত নেব।

ঊষার আলো-এসএ