UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউন শিথিলতায় প্রথম দিনে সড়ক ও বাজারে নজরকাড়া ভিড়

koushikkln
জুলাই ১৫, ২০২১ ১১:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : দীর্ঘ ১৪ দিনের টানা লকডাউন শেষে ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে শিথিলকরা হয়েছে লকডাউনের বিধি নিষেধ, খুলে দেয়া হয়েছে দোকান-শপিংমল সহ গণ-পরিবহন। করোনা আতংকে অপেক্ষা করে দীর্ঘ সময়পর ঈদে ঘরমুখি মানুষের নাড়ীর টানে, বাড়ীর পানে ফেরার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে দূরপাল্লার গণ-পরিবহনসহ জেলা ভিত্তিক হালকা, ভারী ও মাঝারী যানবহনগুলো। যে কারণে নগরীর দৌলতপুরস্থ খুলনা যশোর মহাসড়কে যানবহন হিড়িক দেখা গেছে। পাশাপাশি লকডাউন শিথিলতা প্রথম দিনে দৌলতপুর বাজার সর্বত্র নজরকাড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। যেহেতু সরকার নির্দেশিত ১৪ দিন লকডাউন শেষে বাজার দোকানপাট, শপিংমল খুলে দেওয়া হয়েছে তাই বিধিনিষেধ শিথিলতার প্রথম দিনই ঘরে ছেড়ে ঘরবন্দি মানুষ বাজার মুখি হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে অর্থনৈতিক অবরুদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে এবং ব্যবসায়ীদের পিছিয়ে পরা ব্যবসার মুনাফা অর্জনে নতুন উদ্দ্যেমে টানা লকডাউন শেষে নগরীর দৌলতপুরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৌলতপুরের সকল পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা ঈদে সকল দোকানপাট, শপিংমল বিপনীকেন্দ্র গুলো সাজানোর উৎসবে মেতেছে।
সরেজমিনে, ১৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) খুলনা যশোর মহাসড়কে সকাল ৯টা পর হতে লম্বা যানজটের সৃষ্টি হয়, একই চিত্র সন্ধ্যার পর হতে। দৌলতপুর কাচা বাজার সম্মুখ, মাছ-মাংশ পট্টি, চানদীনা পট্টি, দৌলতপুর গার্মেন্টস্ পট্টি, অভিযান সু বিতান, ব্যাগ-বেল্ট কর্ণার, প্রসাধনীর দোকানগুলোতে বেশ ভীড় পরিলক্ষিত হয়েছে। একাধিক ব্যবসায়ীদরে সাথে কথা বলে জানতে পারা যায় যে, তারা দীর্ঘ ১৪ দিন পর পূর্নাঙ্গরুপে দোকান খুলে এখন প্রচন্ড ব্যস্ত দোকানগুলোতে অভিজাত পোশাক, শাড়ি, থ্রি-পিস, বাচ্চাদের বাহারী পোশাক, জুতা সান্ডেল ওঠাটে প্রচন্ড মরিয়া, যেহেতু দীর্ঘদিন দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ ছিল, তাই গনপরিবহন চলাচলের দরুন তারা ইতিমধ্যেই ঢাকা হতে বাহারী পোশাক আমদানীর অর্ডার করেছে। লকডাউনে ব্যবসায় পিছিয়ে পরা লোকসান কাটিয়ে তুলেছে করছে নতুন বিনিয়োগ, নিয়োগ করেছে নতুন নতুন কর্মচারী।
ব্যবসায়ীরা জানান, যেহেতু খুলনায় করোনার ভাইরাসের প্রকোপ অত্যন্ত ভয়াবহ সুতারং সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি ও সময়সীমার মধ্যে দোকান পাট, শপিংমল বাজারের ব্যবসায়ীরা খোলা রাখা হবে মানা হবে পূর্নাঙ্গ স্বাস্থ্যবিধি। বিশেষ করে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে ক্রেতা- বিক্রেতা উভয়কেই, শিথিলতার প্রথমদিনে কেমন কেনাবেচা হয়েছে জানতে চাইলে কেনাকটা বিতানের মালিক জানান, প্রথম দিনে বেশ ভালো কেনাবেচা করেছি, বেশির ভাগ বাচ্চাদের পোশাক বেশি বিক্রি হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে দৌলতপুরে হোটেল-রেস্তারা গুলোতে পার্সেল বিক্রি করলে ও লকডাউনের শিথিলতায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে ক্রেতারা। সন্ধ্যার পর ফুসকা হাউজগুলোসহ হোটেল গুলোতে চোখের পড়ার মতো ভিড় দেখা যায়।
ব্যবসায়ী হামিম জানান, ঈদকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাংক্ষিত কেনাবেচার প্রস্তুতি নিচ্ছি, যেহেতু লকডাউনের কারনে দীর্ঘদিন দোকান সম্পূর্ন বন্ধ ছিল তাই, কেনাবেচা করতে পারিনি সুতারং পিছনের লোকসান গোছাতে ঈদের বাজারে ভালো বেচাকেনা আশা করছি।
এ ব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহম্মাদ আলী বলেন, বর্তমান সরকার জনগনের সরকার। যেহেতু মুসলমান বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বছরের দুই ঈদ। তাই প্রত্যেক মানুষই চাই তার পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ করতে। সুতারং সকলের পারি পেরার জন্য সরকার গণ-পরিবহন চালু করেছে। পাশাপাশি গ্রাম-মফস্বলে বসবাস করা গরীব মানুষগুলো কোরবানী হাটে গরু ভালো দামে বিক্রির আশায় লালন পালন করে, তাই দেশের অর্থনৈতিক চাকা যেন অবরুদ্ধ না হয়, তার জন্য সকল ব্যবস্থায়ই করেছে সরকার। কিন্তু এর মধ্যে হতে সকলকে সাবধানতার সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, কারণ খুলনা করোনার বিস্তার ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মনে রাখতে হবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যুর ঝুঁকি আছে।