UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শেষ মুহূর্তে জীবন বাঁচল ৫০০ করোনা রোগীর

usharalodesk
এপ্রিল ২২, ২০২১ ২:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : চলমান করোনা পরিস্থিতিতে নাকাল সারা বিশ্ব। করোনা রোগীদের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেনের সংকট চলছে। অক্সিজেনের অভাবে প্রায় ৫০০ রোগীর জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল দিল্লির একটি হাসপাতালে। শেষ মুহূর্তে একটি অক্সিজেনের ট্যাংকভর্তি গাড়ি আসায় প্রাণ রক্ষা পেল ওই হাসপাতালের প্রায় ৫০০ করোনা আক্রান্ত রোগী।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যাপক অভাবের কথা জানান ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার তারিখেই। যেসব হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে, তার মধ্যে অন্যতম এই গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল। যে পরিমাণ অক্সিজেন হাসপাতালে মজুত ছিল তা শেষ হয়ে যেত রাত ২টায়। রাত দেড়টা পর্যন্তও অক্সিজেন ট্যাংকের কোনো ব্যবস্থা হয়নি। তবে শেষে হাসপাতালে পৌঁছাল একটি অক্সিজেন ট্যাংকার। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রাণ বাঁচানো গেল ৫০০ করোনা আক্রান্তের।
গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালের এই চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমকে জানান, আমরা ততক্ষণে আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম । সময় ফুরিয়ে আসছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫০০ রোগী এই সংকটের কথা জেনে যান, এটা আমরা একেবারেই চাইনি। আমরা তখন অত্যাশ্চর্য কিছু ঘটনার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিলাম। তখনই দেখলাম, হাসপাতাস চত্বরে এসে পৌঁছল ওই অক্সিজেন ট্যাংকার। তা দেখে আমাদের সবার চোখে পানি চলে এসেছিল।
দেশের চলতি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সেরো সার্ভেতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির অভাবের সমালোচনা করেছে।
ওষুধ ও অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছে, সারা বিশ্বে ভারতে অক্সিজেন উৎপাদনের ক্ষমতা বৃহত্তম। তাহলে এক্ষেত্রে এত ঘাটতি কেন?
প্রিয়াঙ্কা বলেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে সরকারের কাছে ৮-৯ মাস সময় ছিল। সরকারের সেরো সার্ভেতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত ছিল। তারপরও আশঙ্কা উপেক্ষা করা হয়েছে। এখন দেশে মাত্র ২০০০ ট্রাক অক্সিজেন পরিবহন করতে পারে। অক্সিজেন পর্যাপ্ত থাকলেও তা যথাস্থানে পৌঁছাচ্ছে না, এটা খুবই দুঃখজনক।

(ঊষার আলো- এম. এইচ)