UsharAlo logo
শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাহায্য নিতে গিয়ে খুলনায় পিবিআই কর্মকর্তার ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী

koushikkln
মে ১৫, ২০২২ ৬:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : সাহায্য চাইতে গিয়ে খুলনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক কলেজ ছাত্রী (২০) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষণের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। একই সাথে কলেজছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘটনার মূল অভিযুক্ত পিবিআই পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মঞ্জুরুল হাসান মাসুদকে এখনো পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
রবিবার (১৫ মে) দুপুরে খুলনা মহানগরীর ৯ নম্বর ছোটমির্জাপুর রোডস্থ কাগজী হাউজ নামক বাড়ির নিচতলার একটি  অফিসে এ ঘটনা ঘটেছে। মাসুদ এক সময়ে সাতক্ষীরা জেলার তালায় থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল ও অনৈতিক সর্ম্পকের অভিযোগ উঠে।
পুলিশ জানায়, কলেজছাত্রী ওই মেয়েটির বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায়। সে ২০২১ সালে সরকারি বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। সে মোবাইল ফোন অথবা ফেসবুকের ছবি সংক্রান্ত কোন একটি সমস্যা নিয়ে ৫ দিন আগে পিবিআই ইন্সপেক্টর মাসুদের কাছে আসে। এ সুবাদে তাকে সহযোগিতা করার কথা বলে পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ ছোটমির্জাপুর রোডের কাগজী হাউজের ওই অফিসের কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর ধর্ষণের শিকার মেয়েটি খুলনা সদর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্রশন করেন।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, মহানগরীর ৯ নম্বর ছোটমির্জাপুর রোডস্থ কাগজী হাউজের ওই বাড়িতে ‘ইনকিলাব’ নামে একটি পত্রিকার অফিস রয়েছে। তবে, ঘটনার সঙ্গে পত্রিকার কেউ সম্পৃক্ত আছে কি-না সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে ওই কলেজছাত্রীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইনকিলাব পত্রিকার ব্যুরো প্রধান ডিএম রেজা সোহাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘পিবিআই কর্মকর্তা কর্তৃক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে আজ রোববার বিকালে জানতে পেরেছি। অনেকেই অফিসটিকে দৈনিক ইনকিলাব অফিস বলে উল্লেখ করেছেন, ও আমাকে ফোন দিয়েছেন। সবার অবগতির জন্য বিনীতভাবে জানাচ্ছি, গত বছর (২০২১) মার্চ পর্যন্ত ওই ভবনে ভাড়া হিসেবে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার খুলনা ব্যুরো অফিস ছিল। পরবর্তীতে সেখান থেকে অফিসটি স্থানান্তর করা হয়। সেই সময়ই ওই অফিসে কর্মরত আবু হেনা মুক্তি এবং মাসুদ রানাকে ইনকিলাব কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অভিযোগে অব্যহতি প্রদান করে। আমি ডিএম রেজা ১ মার্চ ২০২১ এ খুলনা ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করি। কাজেই উল্লিখিত স্থানে সংঘটিত কোনো ঘটনার সাথে দৈনিক ইনকিলাব কর্তৃপক্ষের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
ধর্ষণের মত ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। একই সাথে কেউ যদি ইনকিলাব পত্রিকার নাম ভাঙ্গিয়ে অনৈতক সুবিধা নেয়া বা অপকর্মের চেষ্টা করে তাদেরও আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।