UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সোনালী জুট মিলের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুলের ইন্তেকাল

koushikkln
আগস্ট ৩, ২০২১ ১০:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শেখ বদরউদ্দিন : খুলনার মিরেরডাঙ্গা শিল্প এলাকার ব্যক্তিমালিকানাদীন সোনালী জুট মিল লি: এর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হোসেন বুলবুল (৬৭) দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেই করানায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন (ইন্নলিল্লাহে ….রাজেউন )।
সোমবার ( ০২ আগস্ট) সকালে ঢাকা আজগার আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মরহুম এমদাদ হোসেন বুলবুলের স্ত্রী এখনও মালেশিয়াতে রয়েছেন। তাদের এক পুত্র ও দুই কন্যা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনা করছেন বলে পারিবারিক সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে । সোমবার বিকালেই তাকে রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘ চার বছর মালেশিয়াতে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সম্প্রুতি নিজের জুট মিল চালু করতে সিবিএর সাথে সৃষ্ট বিরোধ প্রতিবন্ধকতা দুর করতেই চিকিৎসা শেষ না করেই দেশে চলে আসেন বলে পরিবার সূত্রে জানগেছে।
এমদাদ হোসেন বুলবুলের ঘনিষ্টজন ও সোনালী জুট মিল পরিচালনায় নব নিযুক্ত ঠিকাদার খুলনার পাট রপ্তানীকারক হারুন অর রশিদ আকুঞ্জী জানান, মিলটি এই মাসে পুনরায় চালুর জন্য তিনি এমদাদ হোসেন বুলবুলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সংস্কার কাজ শুরু করে ছিলেন জুলাই মাসেই। তার আগস্ট মাসেই উৎপাদন শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু মিল পরিচালনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হারুন অর রশিদ আকুঞ্জী বিভিন্ন কারনে সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেন। এবং মিল পরিচালনা করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এতে হতাশ হয়ে এমদাদ হোসেন বুলবুল দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন এবং চুপি সারে দেশে ফিরে আসেন। ঢাকায় অবস্থানকালে শনিবারই প্রথম দিকে জ্বর কাশি হলে তিনি অন লাইনে চিকিৎসকের পরমর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করছিলেন। কিন্তু রবিবার দিবাগত রাত ১/২টা দিকে তার শ্বাসকষ্ট প্রবল হলে অেিজন সিলিন্ডার নিয়ে বাসায় চিকিৎসা শুর করেন। কিন্তু অবস্থাা অবনতি হলে তিনি পরে এ্যাম্বুলেন্স যোগে হাসপাতালে ভর্তি হবার চেষ্টা করেন। কয়েটি হাসপাতাল ঘুরে তিনি পরে ধূপ খোলায় আজগার আলী হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই চিকিৎসাধীণ অবস্থায় সোমবার সকালে মৃত্যু বরন করেন।উল্লেখ্য সোনালী জুট মিল লি: খুলনা সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখায় ঋন খোলাপি হয় ২০১৭ সালে। সেই সময় থেকে এমদাদ হোসেন বুলবুল মালেশিয়াই চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তার হার্টে ২টি রিং পরানো হয়েছে। মিলটি ব্যাংকের ঋন খেলাপি হবার দুদক বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় এমদাদ হোসেন বুলবুল পলাতক ছিলেন। এই মামলায় সোনালী ব্যাংক খুলনার সাবেক জিএম, ডিজিএম ,এজিএমসহ একাধিক কর্মকর্তা আসামী হয়ে জেল হাজাতে গিয়ে ছিলেন। পরে উচ্চ আদালতে তারা জামিনে আছেন।