UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খুলনায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা : গ্রেফতার ৩৭

koushikkln
মে ২৬, ২০২২ ৮:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : মহানগরী খুলনায় বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ছাত্রলীগ, বিএনপি-ছাত্রদল ও পুলিশের মধ্যে মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সমাবেশ প- হয়ে গেছে। বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হওয়া দফায় দফায় সংঘর্ষ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এ ঘটনায় বিএনপি, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের অর্ধশতাধিকা নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৩৭জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় রাতে খুলনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

বিএনপি ও পুলিশের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় পৃথক পৃথক বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। 

বিকালে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়, কেডি ঘোষ রোড় ও থানার মোড় এলাকায় দফায় দফায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক সংখ্যক টিয়ালসেল নিক্ষেপ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টার দিকে শহীদ হাদিস পার্ক সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগ প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তির প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে। অপরদিকে থানার মোড়ে কেডি ঘোষ রোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়াকে কটুক্তির প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন নগর বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষ করে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে ফিরতে আসছিল, এ সময় পিকচার প্যালেস মোড়ে ছাত্রদলের কতিপয় নেতাকর্মী হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।

নগর ও জেলা ছাত্রলীগ ঘটনার জন্য বিএনপি ও ছাত্রদলকে দায়ী করেছে। সংগঠনের জেলা সভাপতি পারভেজ আলম সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে বলেন, বিএনপি-ছাত্রদল অস্ত্র, ককটেল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ২০/২২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্নস্থানে চিকিৎিসা দেওয়া হয়েছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

বিএনপির বক্তব্য : বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, খুলনায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ  পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালালে অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশংকাজনক। পুলিশের মুর্হুমুর্হু রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ এবং দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছাত্রলীগ  তান্ডবলীলায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র এলাকা। পুলিশ বিএনপি অফিসের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে এবং দলীয় কার্যালয় এলাকা থেকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দা রেহানা ঈসা, নগর মহিলা দলের সভাপতি আজিজা খানম এলিজা সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পদ্মা সেতু ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ দেশের সিনিয়র নাগরিকদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা কটূক্তি ও প্রচ্ছন্ন হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি শুরু হয়। মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম খান।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বক্তৃতা করতে থাকেন। তেরখাদা উপজেলা বিএনপির একটি মিছিল কেসিসি মার্কেট এলাকা থেকে সমাবেশস্থলে আসার সময় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা হামলা করে অনেককে আহত করে। এরপরই ডুমুরিয়া থানা বিএনপির একটি মিছিল গোলকমনি পার্ক এলাকা থেকে শুরু হয়ে সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে পিকচার প্যালেস মোড় পৌছালে ছাত্রলীগ’র হামলার শিকার হয়। এ সময় যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী রক্তাক্ত জখম হন। রক্তাক্ত কর্মীদের নিয়ে মিছিলকারীরা সমাবেশস্থলে পৌছালে সেখানে আগে থেকে উপস্থিত দলীয় কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। শীর্ষ নেতারা তাদেরকে শান্ত করে সমাবেশের কাজ চালিয়ে যান। বিকেল ৫টার দিকে শতাধিক ছাত্রলীগ-যুবলীগ  দেশীয় অস্ত্র, রড, লাঠি, বাঁশ নিয়ে পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে বিএনপি অফিসের দিকে আসতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় থানায় মোড়ে অবস্থানরত বিএনপি কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে শ্লোগান শুরু করে। তখন ছাত্রলীগ  পুলিশী ব্যারিকেড ভেঙ্গে ধেয়ে আসে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা ব্যাপক ভাংচুর ও তান্ডবলীলা শুরু করলে পুলিশ তাদের সাথে যোগ দেয়।

অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা এ সময় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিএনপির মঞ্চ থেকে সবাইকে শান্ত থাকার এবং পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ভূমিকা রাখার আহবান জানানো হয়। কিন্ত সে আহবানে কর্ণপাত না করে পুলিশ ছাত্রলীগ ক্যাডারদের সাথে মিলিত হয়ে বিএনপি কর্মীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। ছাত্রলীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত মঞ্চ, সমাবেশস্থলের শতাধিক চেয়ার, আশেপাশের অফিস ও প্রতিষ্ঠানের দরজা জানালার গ্লাস, ফুটপাতের দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। পিকচার প্যালেস, স্যার ইকবাল রোড, থানার মোড়, বাজার কালিবাড়ি, হেলাতলা, হেরাজ মার্কেট, স্টেশন রোড সহ গোটা এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।

বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলের শত শত বিক্ষুব্ধ কর্মী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলাকালে অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এ সময় রাজপথে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন মহানগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আলহাজ রকিবুল ইসলাম বকুল। কিন্ত পুলিশের মুর্হুমুর্হু গুলিবর্ষণ, টিয়ারসেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডারদের সহিংসতা কর্মীদের আরও বিক্ষুব্ধ করে তোলে। এ সময় নগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, নগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির সহ শীর্ষ স্থানীয় নেতারা সহিংসতা পরিহার করতে পুলিশের প্রতি আহবান জানান।

বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় সোয়া ৬টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপি অফিসের দরজার তালা ভেঙ্গে একের পর এক নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দা রেহানা ঈসা, মহিলা দল সভাপতি আজিজা খানম এলিজা, ডুমুরিয়া বিএনপির সরোয়ার হোসেন সহ অন্তত ২০ জনকে আটক হন।

ঘটনার প্রতিবাদে বড় বাজার ও হেলাতলা এলাকায় বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী ও মহানগর বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ বাবু মিছিলে নেতৃত্ব দেন। এক পর্যায়ে মিছিলটি পুলিশের মুখোমুখি হলে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে মাসুদ পারভেজ বাবুর পা লক্ষ্য করে পুলিশের এক সদস্য টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া করলে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

পুলিশের বক্তব্য : বৃগস্পতিবার (২৬ মে)  বিকাল ৫টায় খুলনা থানাধীন ৬ নং কে ডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূর্চী চলছিল।  সমাবেশে প্রায় ৩,৫০০-৪,০০০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অপর দিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও ঔদ্বত্যপূর্ণ মন্তব্য করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ২৬ মে ৪টায়  দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূর্চী চলছিল। বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় ২,৫০০-৩,০০০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ খুলনা জেলা শাখার নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ডাক বাংলো মোড় থেকে ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে আসার সময় বিকাল অনুমান পৌনে ৫টায়  সময় বিক্ষোভ মিছিলটি খুলনা থানাধীন পিকচার প্যালেস মোড় ক্রস করার সময় খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বে-আইনী জনতাবদ্ধে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইট পাটকেল সহ খুলনা জেলা ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিলের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। সে সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান সহ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে খুলনা থানাধীন পিকচার প্যালেস মোড় হতে বিএনপি অফিস পর্যন্ত এলাকা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। সে সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা উভয় পক্ষকে নিভৃত করার চেষ্টাকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর চরম মারমুখী হয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে সরকারি অস্ত্র-গুলি ও জান মাল রক্ষার্থে ঘটনাস্থলে থাকা উপ-পুলিশ কমিশনার(দক্ষিণ) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন মহোদয়ের নির্দেশে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিআর সেল নিক্ষেপ এবং শর্টগাণের গুলি বর্ষণ করা হয়। অনুমান ৬টা পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় এক ঘন্টা পাঁচ মিনিট সময় ধরে চলা বিএনপি নেতাকর্মীদের তান্ডব ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা অত্যান্ত ধৈর্য্য ও পেশাদারিত্বের সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের ছোরা ইট পাটকেল এর আঘাতে ১৪ জন পুলিশ সদস্য জখম প্রাপ্ত হন। সে সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারি অস্ত্র-গুলি ও জানমাল রক্ষার্থে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যগণ তাদের নিজ নিজ নামে ইস্যুকৃত অস্ত্র হতে সর্বমোট  ১২৭ রাউন্ড শর্টগান, ৪৩ রাউন্ড গ্যাসগান ফায়ার করেন।  ঘটনায় ডিউটিতে নিয়োজিত ১৪ জন পুলিশ আহত হয়। ঘটনাস্থল হতে পুলিশ আমলযোগ্য অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব  শফিকুল আলম তুহিন সহ সর্বমোট ৩৭ জন  বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করা হয়।  ওই ঘটনা সংক্রান্তে খুলনা থানার মামলা নং-৩১, তারিখ-২৬/০৫/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/১৪৭/১৪৯/১৫২/ ১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/১০৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে।