UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামিনে মুক্ত খুলনা বিএনপির ১২ নারী নেত্রী

koushikkln
মে ২৭, ২০২২ ৯:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : খুলনা বিএনপির গ্রেফতারকৃত ৪১ নেতাকর্মীর মধ্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ২৯ জনকে জেলহাজতে প্রেরন ও ১২ নারী নেত্রীকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতু ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দেশের সিনিয়র নাগরিকদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা কটূক্তি ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের সমাবেশ পন্ড করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে খুলনা সদর থানার এস আই বিশ্বজিৎ কুমার বসু বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলায় মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শফিকুল আলম মনা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ, নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহির, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীসহ ৯২ জনের নাম উল্লেখসহ ৮৯২ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেন।

শুক্রবার (২৭ মে) গ্রেফতারকৃত ৪১ নেতাকর্মীদের আদালতে প্রেরণ করা হলে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রেহেনা ঈসা, সাবেক কাউন্সিলর আনজিরা খাতুন, মুন্নি জামান, মিসেস মনি, কাওসারী জাহান মঞ্জুসহ ১২ নারী নেত্রীকে জামিন দেয় আদালত। বাকিদের জামিনে শুনানী আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হবে। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এড. গাজী আব্দুল বারী, এড. মোমরেজুল ইসলাম, এড. মশিউর রহমান নান্নু, এড. তৌহিদুর রহমান তুষার, এড. আক্তার জাহান রুকু, কেএম শহিদুল আলম, এড. তফসির আহমেদ চুনি, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন প্রমূখ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডাররা হামলা চালায় যাতে অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ এবং দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছাত্রলীগ ক্যাডারদের তান্ডবলীলায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র এলাকা।

বিএনপির প্রেসব্রিফিং 

খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের সমাবেশ পন্ড করেছে। তাদের হামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশের টিয়ারসেল ও গুলিতে নেতাকর্মীরা রক্তাক্ত জখম হয়েছে। শুধুমাত্র নেতাকর্মীরা নয়; তাদের হাত থেকে পথচারী ও ব্যবসায়ীরা রক্ষা পায়নি। পুলিশ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের প্রধান দরজা ভেঙ্গে অফিস তছনছ করেছে কিন্তু পরে মামলা করা হয়েছে উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের নামে। দলীয় কার্যালয় থেকে দরজা ভেঙ্গে মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, ১২জন নারী নেত্রীসহ মোট ৪১জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সদস্যরা নারী নেত্রীদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেছেন। তিনি শুক্রবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

মনা আরো অভিযোগ করেন, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ যুবলীগের হেলমেট বাহিনী সদস্যরা নির্বিচারের নেতাকর্মীদের ওপর তান্ডব চালিয়ে অফিসের অনেক গুরুত্বপুর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছেন। সরকার শেষ মুহুর্তে এসে অসহিষ্ণু আচরণ করছেন, খুলনার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহবস্থানের ঐতিহ্য ছিলো। এই ন্যাক্কারজনক বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে শান্ত খুলনাকে অশান্ত করা হয়েছে। ছাত্রলীগ যুবলীগের তান্ডবে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গেলে পুলিশ সেখান থেকে অনেককে আটক করেছে। বুধবারের ঘটনায় ৫শতাধিক চেয়ার ভাংচুর করা হয়েছে। এমনকি পুলিশ সদস্যরাও চেয়ার ভাঙচুর করেছে যা ভিডিও ফুটেজে প্রমান আছে। তিনি অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিসহ ছাত্রলীগ যুবলীগের চিহ্নিত হেলমেট বাহিনী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, নগর যুগ্ম আহবায়ক তারিকুল ইসলাম জহির ও জেলা সদস্যে সচিব মনিরুল ইসলাম বাপ্পি, কাজী মো. রাশেদ, স ম আব্দুর রহমান, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, একরামুল হক হেলাল, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, রুবায়েত হোসেন বাবু, এড. কানিজ ফাতেমা আমিন, নিঘাত সীমা প্রমুখ।