ঊষার আলো ডেস্ক : ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিকদের ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ, যানবাহন আটক বন্ধ করে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত নীতিমালা চূড়ান্ত করে বিআরটিএ কর্তৃক লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে শুক্রবার (২৭ মে) বিকাল ৫টায় খুলনার পিকচার প্যালেস মোড়ে রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে শ্রমিকনেতা এইচ এম শাহাদাৎ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম নাদিম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও খুলনা জেলা রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা ডাঃ মনোজ দাশ, এস এ রশিদ, পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক এড. কুদরত-ই-খুদা, সিপিবি খুলনা জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল হান্নান, সিপিবি খুলনা মহানগর কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনির চৌধুরী সোহেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ইজিবাইক রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বাবু, রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন খুলনা জেলা সংগঠক নিত্যানন্দ ঢালী, কিংসুক রায়, সাইদুর রহমান বাবু, তোফাজ্জল হোসেন, ফজলুল হক, হুমায়ুন কবির, নীরজ রায়, এস এম চন্দন, হরমুজ আলী, সোহেল মীর, মোঃ আক্তারুজ্জামান, তরুণ বিশ্বাস, মোঃ নাজমুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, জাকির হোসেন, দুলাল সরকার, আফজাল হোসেন রাজু, সৈয়দ রিয়াসাত আলী রিয়াজ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন খুলনা জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র সৌরভ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রযুক্তির এই অগ্রগতির সময়ে মানুষ দিয়ে মানুষ টানার পরিবহন একটি অমানবিক ব্যবস্থা। এই অসহনীয় গরমে বড়লোকের জন্য এসি আর গরিব-মেহনতী মানুষকে প্যাডেল দিয়ে রিকশা চালানোয় বাধ্য করা, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স দিতে অনাগ্রহ সরকারের গরিব-মেহনতী মানুষের প্রতি বৈষম্যের নীতির বহিঃপ্রকাশ। অথচ শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সাম্য প্রতিষ্ঠা।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে খুলনার প্রধান শ্রমিক অঞ্চলগুলোকে মৃত নগরীতে পরিণত করেছে। পাটকলের কাজ হারানো শ্রমিকদের একটি বড় অংশ আজ নিজ উদ্যোগে ব্যাটারিচালিত যানবাহন শ্রমিক হিসেবে উপার্জনের চেষ্টা করছে।
সমাবেশ শেষে শ্রমিকদের একটি গণমিছিল খুলনার পিকচার প্যালেস মোড় হতে ফেরিঘাট মোড়ে এসে শেষ হয়।