ঊষার আলো ডেস্ক : নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত শহীদ জিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বাগমারা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় রাখার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বর্তমান নাম বহাল রাখার জোরালো দাবি জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (০৮ জুন) এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, ১৯৯৪ সালে সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে এলাকার কতিপয় বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর কে এম হুমায়ুন কবিরের বড় ভাই কে এম আব্দুল্লাহেল কাফি ছিলেন জমিদাতা। প্রায় ৩০ বছর যাবৎ এলাকার নারী শিক্ষা বিস্তারে অনন্য অবদান রাখা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আজ রাষ্ট্রীয় রোষানলে পড়ে নিজস্ব নাম হারাতে বসেছে। সম্প্রতি মন্ত্রী পরিষদ জিয়াউর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত সকল স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মর্মে স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে প্রশাসন। সরকারের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি সভা আহবান করেছে। সেই সভায় স্কুল থেকে স্বাধীনতার মহান ঘোষক, রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা, আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার রূপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা হবে।
বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, এই সরকার তাদের অনিয়ম, দুর্নীতি, দু:শাসন, লুটপাট, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম, ভোটাধিকার ও মৌলিক মানবাধিকার হরণের কারণে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গায়ের জোরে প্রশাসনকে ব্যবহার করে তারা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলে রাখলেও এই দখলদারিত্ব আর বেশি দিন টিকিয়ে রাখতে পারবে না। পতনের ঘণ্টা বাজছে, আলামত ফুটে উঠেছে সর্বত্র। মুক্তিযুদ্ধের অমর মহানায়ক সেক্টর কমান্ডার, বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলার চক্রান্তকারীরাই জনগনের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবেন এবং ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো: তারিকুল ইসলাম জহির, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মো: রাশেদ, স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, এ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ প্রমুখ।