UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পদ্মাসেতু ব্যবহারে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৩ রুটের বাস ভাড়া নির্ধারণ

koushikkln
জুন ৯, ২০২২ ১০:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৩ রুটের বাস ভাড়া নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে এ ভাড়া কার্যকর হবে। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পরদিন থেকে এসব বাস পদ্মা সেতু ব্যবহার করে চলাচল করবে। গত মাসে পদ্মা সেতুর টোল রেট নির্ধারণের পর এ পদক্ষেপ নিল বিআরটিএ।

এদিকে নতুন ভাড়া নিয়ে খুলনা অঞ্চলের নেটিজেনদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। খুলনা থেকে ঢাকার দূরত্ব কম হলেও ভাড়া বেশী ধরা হয়েছে তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন। দূরত্ব অনুযায়ী বিটিআরটির গাণিতিক হিসেব নিয়েও নানা ব্যাখ্যা তুলেছেন। নেটিজেনরা বলেছেন, বাস মালিকদের পক্ষে কাজ করেছে বিটিআরটি। এতে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা হয়নি।

বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) শীতাংশু শেখর বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তি ৭ জুন বিআরটিএর ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। ঢাকায় বাসগুলো সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যাবে বলে এতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঢাকা-ভাঙ্গা-মাদারীপুর-বরিশালের ভাড়া ৪১২ টাকা, ঢাকা-রাজৈর-গোপালগঞ্জের ভাড়া ৫০৪ টাকা, ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনার ভাড়া ৬৪৯ টাকা, ঢাকা-জাজিরা-শরীয়তপুরের ভাড়া ২১৮ টাকা, ঢাকা-বরিশাল-পিরোজপুরের ভাড়া ৫৩৪ টাকা, ঢাকা-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট-পিরোজপুরের ভাড়া ৬২৮ টাকা, ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালীর ভাড়া ৫০১ টাকা, ঢাকা-ভাঙ্গা-মাদারীপুরের ভাড়া ৩২৭ টাকা, ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা-সাতক্ষীরার ভাড়া ৬৩৩ টাকা, ঢাকা-ভাঙ্গা-ফরিদপুরের ভাড়া ২৮৮ টাকা, ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল-ভোলা-চর ফ্যাশনের ভাড়া ৬৫৩ টাকা, ঢাকা-বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু-শরীয়তপুরের ভাড়া ২১৯ টাকা এবং ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটার ভাড়া ৬৯৪ টাকা হবে।
তবে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য সরকার টোল আরোপ শুরু করলে বাস ভাড়া আবার বাড়তে পারে। যদি বাসগুলো সায়েদাবাদ ছাড়া অন্য টার্মিনাল ব্যবহার করে, তাহলে নতুন রুট পারমিট নিতে হবে বলে বিআরটিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ভাড়া নিয়ে বির্তক

এদিকে গুলিস্থান থেকে খুলনার দূরত্ব ২১৭ কিমিঃ অথচ সওজ এর তথ্য অনুসারে খুলনা ঢাকার দূরত্ব তুলে ধরেছে ২৪৭ কিমিঃ। ২৪৭ হিসেব করেই বিআরটিএ যে নির্ধারিত ভাড়া বেধে দিয়েছে সেখানে দেখা যায়, ঢাকা হতে খুলনার ভাড়া নির্ধারণ করেছে ৬৪৯.৩৬ পয়সা। বিআরটিএ’র নির্ধারিত হিসাব অনুযায়ী প্রতি কিমি ১.৮০ পয়সা করে ২৪৭ কিমি পথের হিসেব করে ৪৪৪.৬ পয়সা হিসেবে চালক ব্যাতীত ৫১ সিট হিসেব করে (৪৪৪.৬*৫১) = ২২৬৭৪.৬ পয়সা হিসেব ঠিকই করেছেন। অথচ যাত্রীদের মাথাপিছু খরচ যখন দেখিয়েছেন তখন আবার ৪০ সিটের বাস হিসেব করে (২২৬৭৪.৬/৪০) বা এক সিটের ভাড়া নির্ধারণ করেছেন ৫৬৬.৮৬ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ঢাকা খুলনার যাবতীয় টোল। তারা হিসেব করে ভাড়া নির্ধারণ করেছে ৬৪৯.৩৬ পয়সা।

অথচ বিআরটিএ যদি সঠিক হিসেব করতো তবে ২১৭ কিমি হিসেব করে ২১৭ গুনন ৫০ সিট না হিসেব করে ৪০ সিটের বাস হিসেব করতে পারতেন। উপরের গুনফলকে ৪০ দিয়ে ভাগ করে জনপ্রতি খরচ হিসেব করলে ভাড়া পরিমান বর্তমানের তুলনায় কম নির্ধারিত হতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা।

এছাড়াও মাওয়া হাইওয়ে এক্সপ্রেস ওয়ের টোল নির্ধারণ হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই, এই টোল নির্ধারণ করলে ভাড়া আরো বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের।
অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে বিআরটিএ’র যে ভাড়া বৈষম্য তুলে ধরেছে সেখানে ঢাকা-সাতক্ষীরা ভাড়া এবং ঢাকা-খুলনার ভাড়া নির্ধারণেও গড়মিল রয়েছে।