এম এন আলী শিপলু : নগরীর শিপইয়ার্ড এলাকায় সড়কজুড়ে অবৈধ ইট-বালির ব্যবসায় ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ৩১নং ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়া মেইন রোডটি ভয়ানক অবস্থা ধারণ করেছে। অবৈধ বালির ব্যবসায়ীদের এ বিষয়ে একাধিকবার নিষেধ করলেও তারা শুনছেন না। আবার প্রশাসন আসার পরেও তারা এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেননি। উল্টো ব্যবসায়ীদের দম্ভক্তি, আমরা বালির ব্যবসা করব পারলে কিছু করো।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই বালির ব্যবসার ক্ষেত্রে হালকা বাতাসের ছোঁয়া দেখা গেলেই শ্বাসকষ্ট ছাড়াও চোখে-মুখে বালি ঢুকে হচ্ছে নাজেহাল অবস্থা। সিটি কর্পোরেশনের রাস্তাকে স্থান করে হচ্ছে রমরমা বালির ব্যবসা। জানালা খোলা রেখে ঠিকমতো খাবার খেতে পারে না এলাকাবাসী। আশেপাশে যে বেকারীর দোকানগুলো আছে তাদের প্রত্যেকটা মালামাল বালিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার সাথে হচ্ছে পরিবেশ দূষণ।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, জানালা খোলা রেখে ঠিকমতো খাবার খেতে পারে না এবং আশেপাশে যে বেকারীর দোকানগুলো আছে তাদের প্রত্যেকটা মালামাল বালিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রথম দিন মানা করা হয়, দ্বিতীয় দিনও তারা মানা শোনেনা এবং তৃতীয় দিন তাদেরকে বলা হয় এখানে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে জরিমানা করা হবে। রাস্তার ওপর বালির ব্যবসা করার পিছনে কার হাত আছে এটা জানার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী।
ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে ২ দিন প্রশাসনের লোক দেখা গেলেও তারপর থেকে আর দেখা যায়নি। পুলিশ প্রশাসনের কোন লোক আজও পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনের রাস্তার ওপরের বালির ব্যবসা থামাতে পারেনি। প্রশাসনের লোক আসার পরেও হল না কোনো মামলা ও জরিমানা। দিনের পর দিন চলছে বালির এ রমরমা ব্যবসা। সরকারি রাস্তা আটকানো হচ্ছে এবং সিটি কর্পোরেশনের আয়তন থাকা অবস্থায় হচ্ছে অবৈধ বালুর ব্যবসা। হচ্ছেনা কোনও মামলা, হচ্ছে না কোনও জরিমানা।
(ঊষার আলো-এমএনএস)