UsharAlo logo
বুধবার, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনিয়ম-দুর্নীতির মূল উৎপাটনে জেলা পরিষদে লড়ছেন ডা. বাহার

koushikkln
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ ৪:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : তৃণপর্যায়ে সেবা সম্প্রসারণ ও অনিয়ম-দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে খুলনা জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন খুলনা জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, জেলা পরিষদ দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সেখানে সেবা গ্রহণে ৩০-৪০ শতাংশ কমিশন দিতে হয়। খুলনার উন্নয়নে সরকার জেলা পরিষদে ব্যাপক বরাদ্দ দিলেও, তা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেনি। জেলা পরিষদের নীতি নির্ধারণে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বর ভূমিকা নেই। অথচ তাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো জরুরী।

খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা ও করণীয় বিষয় জানাতে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এসব কথা বলেন। দুপুরে নগরীর বিএমএ ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ডা. শেখ বাহারুল আলম জেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। গত ৮ বছরে খুলনা জেলা পরিষদ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দু’একজন প্রভাবশালী চেয়ারম্যান ছাড়া সাধারণ ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হতে পারে। তাই আমরা চাই, ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারেন। প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে নয়, আমি প্রার্থী হয়েছি, প্রায় ৮ বছর দায়িত্ব পালন করা চেয়ারম্যান বা প্রশাসকের বিরুদ্ধে। আমি আশাকরি তিনি ভোটের মাঠে দলের সভাপতির ভোটটি ব্যবহার করবেন না। ভোটারটা ব্যক্তি নয়, পদটি ভয় পান।

বিএমএ খুলনার নির্বাচনে সদ্য বিজয়ী সভাপতি ডা. বাহারুল আলম নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি লড়ার মানুষিকতা নিয়ে প্রার্থী হয়েছি। অনেক ভোটারদের প্রতি চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাই আমি চাই, ভোটাররা যেন নিবিঘেœ ভোট দিতে পারেন। প্রভাবমুক্তভাবে কেন্দ্রে আসতে পারেন।’