ঊষার আলো প্রতিবেদন : খুলনায় ‘সিটিজেন চার্টার’ সর্ম্পকে সিংহভাগ মানুষের ধারণা নেই। ফলে এসব মানুষ সিটি করপোরেশন, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), খুলনা ওয়াসা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)সহ সেবাদানকারীদের প্রতিষ্ঠানে বিড়ম্বনার শিকার হন। পানি, স্যানিটেশন, ড্রেনেজ ও বর্জ্য ব্যবস্থায় ৬০ ভাগ নাগরিকের সেবা বঞ্চনাও এ দুর্বলতার কারণ। হয়রানিমুক্ত নাগরিক সেরা প্রদানের জন্য ‘সিটিজেন চার্টার’ প্রদর্শন ও ব্যবহার বৃদ্ধি জরুরী।
।। সঠিক তথ্য না জানলে নাগরিকরা
সেবা বঞ্চিত হন : কেসিসি মেয়র।।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে বস্তি এলাকার মানুষের ‘সিটিজের চার্টার’ ব্যবহার বিষয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সিটি মেয়র সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
নগরীর ৫ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড ঘোষণার অংশ হিসেবে স্বেচ্ছসেবী সংস্থা সুশীলন ও পরিবর্তন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ৪০টি যুব গ্রæপের ৮শ’ সদস্য ও নাগরিক কমিটির ৫০ সদস্যের অভিমতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুষার কান্তি রায়। বক্তব্য দেন সিটি করপোরেশনের বজ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর এস এম খুরশীদ আলম টোনা, কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী, প্রধান নির্বাহী লস্কর তাজুল ইসলাম, সচিব মো. আজমুল হক, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ইমদাদুল হক, খুলনা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম, নাগরিক কমিটির সভাপতি মিনা আজিজুর রহমান, শাহ মামুনুর রহমান তুহিন প্রমুখ। স্বাগত জানান পরিবর্তনে প্রধান নির্বাহী নাজমুল আযম ডেবিড ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিরিন পারভীন।
সিটি মেয়র বলেন, জনগণের কাছে জনপ্রতিনিধিদের দ্বায়বদ্ধতা রয়েছে। তাদের প্রতি ৫ বছর পর পর জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়। চাকুরিজীবীরা বেতনের বিষয়টি ভাবেন। আবার সঠিক তথ্য জানার অভাবে নাগরিকরা সেবা বঞ্চিত হন। সিটি করপোরশেন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবে। জনচেতনতা গড়তে আরো ‘সিটিজেন চার্টার’স্থাপন করবে।