UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অঙ্কিতা হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে রাজপথে নিহতের বাবা

usharalodesk
এপ্রিল ৭, ২০২১ ১০:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আবারো পোস্টার ছেড়ার অভিযোগ

ঊষার আলো প্রতিবেদক : নগরীর দৌলতপুরে আলোচিত স্কুল ছাত্রী শিশু অঙ্কিতার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার চার্জশীট চূড়ান্ত মূহুর্তে এলাকাবাসীর সাথে আন্দোলনে নেমেছেন নিহতের বাবা সুশান্তি দে নিজেই। তিনি রাত জেগে ধর্ষক প্রীতম রুদ্রের ফাঁসি চাই সম্বলিত পোস্টার নতুন করে দেয়ালে দেয়ালে সাঁটা শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) গভীর রাত পর্যন্ত তিনি এলাকাবাসীর সাথে মিলে এ পোস্টার ওয়ালে লাগান। অথচ দুর্বৃত্তরা সেই পোস্টার ছিড়েছে। সুশান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অঙ্কিতাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রুদ্র কয়েকদিন লাশ গুম করে রাখে। এ সময় সে লাশ একাধীক স্থান পরিবর্তন করে। ভবনের ছাদে, স্টোর রুমে, সিঁড়িতে নিহতের রক্ত মাখা ছিল। ওই রক্ত মুছে ফেলা হয়েছে। মেয়েটিকে হত্যার পর তা গুম করার জন্য হাত পা ভেঙ্গে বস্তা ভরা হয়। ওই বস্তা ভবনের পাঁচতলা থেকে নীচতলায় আনা হয়। যা রুদ্রের একার পক্ষে সম্ভব নয়। নরপশু প্রীতম রুদ্রের মামা শ্যামল সকল নাটের গুরু। সেই যোগ্য ভাগ্নে প্রীতমকে ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুমের সাথে সহযোগিতায় ছিল শীর্ষে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাকে আসামী করছে না। রুদ্রকে শ্যামলসহ যারা এ কাজে সহযোগিতা করেছে তাদেরকেও অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিলের দাবি জানান এ হতভাগা পিতা।
গত ২৮ জানুয়ারী তৃতীয় শ্রেনী মেধাবী ছাত্রী শিশু অঙ্কিতাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছিল সেই থেকেই পাবলা বনিক পাড়াবাসী আন্দোলনরত। এমন ঘটনা যেন অত্র পাড়ায় আর দ্বিতীয়টি না ঘটে সে লক্ষ্যে পাবলা বনিকপাড়া সোসাইটি গঠন করা হয় । ওই কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পুলু মুন্সি জানান, শিশু অঙ্কিতার ধর্ষণ ও হত্যাকারী কুলাঙ্গার প্রীতম রুদ্রের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনকারীরা এলাকায় নতুন করে পোস্টার সাটাচ্ছে। মঙ্গলবার রাত জেগে তারা পোস্টার লাগায়। সকালে দেখা যায় আবারো কারা যেন পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, এর মধ্যে ধর্ষকের স্ত্রী সুইটি, মামা শ্যামল, ইঞ্জিনিয়ার প্রশান্তসহ আরো ৩/৪ জন রহস্যজনক আচরণ করছে। বিশেষ করে প্রশান্ত ওই বাসায় ভাড়া থাকতো। ওই পরিবারের সাথে পারিবারিক লোক হিসেবে চলতো। কারণ প্রশান্ত’র পরিবার ভারতে বসবাস করে। সে এখানে একা ওই পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে বসবাস করতো। অঙ্কিতার লাশ বীনাপানি ভবনের বাসা থেকে উদ্ধারের পর প্রশান্ত রহস্যজনক কারণে আত্নগোপন করেন। এখনও পর্যন্ত তাকে পাবলায় দেখা যায়নি। এ প্রশান্তকে গ্রেফতার করতে পারলেও অঙ্কিতা ধর্ষণ ও হত্যার নতুন কোন রহস্য উদঘাটন হতো বলে তিনি মনে করেন। এ জন্য তিনি চার্জশীট দাখিলের আগে সহযোগিদের আসামী করে গ্রেফতারের জোর দাবি জানান এ্ নাগরিক নেতা।
উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারী দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়ার সুশান্ত দের কন্যা অঙ্কিতা দে ছোয়া নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজি করে এক পর্যায় ২৮ জানুয়ারী অত্র এলাকার বৃত্তশালী ব্যক্তি প্রভাত রুদ্রের চারতলা বাড়ীর নিচতলার বাথরুমে অঙ্কিতার লাশ বস্তা বন্দি প্রায় গলিত অবস্থা পাওয়া যায়।

(ঊষার আলো-এমএনএস)