ঊষার আলো রিপোর্ট : রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু, শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ ও আধুনিকায়নের দাবিতে কারখানা কমিটির উদ্যোগে খালিশপুর পিপলস গোল চত্বরে আজ (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দুই ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খালিশপুর জুট মিল কারখানা কমিটির সভাপতি ও সিবিএ-এর সাংগঠিনিক সম্পাদক মনির হোসেন ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।
বক্তৃতা করেন, পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব এস এ রশীদ, বাম গণতান্ত্রিক জোট ও গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ খুলনা জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নান্টু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) খুলনা জেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক খান, শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য, খুলনা জেলা সমন্বয়ক মোঃ রুহুল আমিন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, খুলনা জেলা সভাপতি আব্দুল করিম, টিইউসি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম চন্দন, গণসংহতি আন্দোলন, ফুলতলা উপজেলা আহবায়ক অলিয়ার রহমান, খালিশপুর হকার্স সমিতির সভাপতি জামাল মুন্সী, সাবেক সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান, বদলী দৈনিক ভিত্তিক আঞ্চলিক কমিটির আহবায়ক ইলিয়াস হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন খুলনা মহানগর আহবায়ক আল আমিন শেখ, শ্রমিকনেতা শামসেদ আলম শমসের।
অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তৃতা করেন, , খালিশপুর জুট মিল শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ গাজী, সহ-সম্পাদক কামাল হোসেন সেন্টু, সাবেক কোষ্যধ্যক্ষ মোঃ সুলতান, সদস্য জলিল, কবীর, প্লাটিনাম জুট মিলের আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, দৌলতপুর জুট মিলের নূর মোহাম্মদ, খালিশপুর জুট মিলের আবুল কালাম, ক্রিসেন্ট জুট মিলের মোশাররফ হোসেন, জাকির হোসেন, জেজেআই জুট মিলের শামস শারফিন শ্যামন, তোফাজ্জেল হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পাট ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব, বিজেএমসি‘র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কনসালট্যান্টদের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের ফলাফলই ২৫টি পাটকলোর লোকসানের প্রধান কারণ। লোকসানের জন্য এই দুর্নীতিবাজদের বিচারও হয়নি, শাস্তিও পায়নি।
অথচ লোকসানের দায়ভার বর্তেছে সাধারণ পাট শ্রমিকদের ওপর। একদিকে শাসকেরা লোকসানের জন্য শ্রমিকদের দায়ী করে রেখেছে অন্যদিকে পাটকল বওেন্ধর ১ বছর পূর্ণ হলেও ডেইলী ব্যাসিস শ্রমিকদের কোন অর্থ প্রদান করেনি। সঙ্গত কারণে অভুক্ত শ্রমিকরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অসংখ্য শ্রমিকদের সন্তান লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। সংসার চালাতে গিয়ে অনেকে অনৈতিক পেশায় প্রবেশ করেছে। এমনকি অদক্ষ পেশায় যুক্ত হয়ে কেউ কেউ দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করতে করেছে। বক্তারা বলেন পাটশিল্প অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত।
এই পাটশিল্প দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশি বাজারে প্রসার ঘটাতে পারতো। অথচ সরকার দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর কায়েমী স্বার্থে পাটকল ও পাটশিল্পকে ধ্বংস করে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুট করার ব্যবস্থা করছে। বক্তারা অবিলম্বে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল চালু, আধুনিকায়ন এবং নো ওয়ার্ক নো পের শ্রমিকদের সমুদয় বকেয়া বেতন এককালীন প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান; অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
(ঊষার আলো-আরএম)