ঊষার আলো ডেস্ক : ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুন্সি মনিরুজ্জামান মুকুল সহ ৬ জনকে আসামী করে খানজাহান আলী থানায় মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মহানগর ও থানা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুকুল নগরীর ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে সংগঠন পরিচালনা করে আসছেন। তার সাংগঠনিক কর্ম দক্ষতা ও তৎপরতার কারনে বিএনপি-জামায়াত এবং কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এই ওয়ার্ডে যাতে সংগঠন শক্তিশালী না হতে পারে সেজন্যে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীরা বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। আর এই মামলা করার পেছনে আইন শৃংখলা বাহিনীর কতিপয় অসাধু চক্র ইন্দন যুগিয়েছে। নেতৃবৃন্দ এই ধরনের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশকে উন্নত ও জাতিকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কোন বিকল্প নেই। রাজনীতির ছোয়া ছাড়া কোন দেশ উন্নত হতে পারে না। সেকারণেই রাজনৈতিক দলের নেতারাই উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে থাকেন। যারা দেশ ও জাতির উন্নয়ন চায়না তারাই রাজনৈতিক নেতাদের ভালো কর্মকা-েরও সমালোচনা করে থাকে। আর ওই সকল ইতিবাচক রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করা হয়। যেটি মুন্সি মনিরুজ্জামান মুকুল এবং খানজাহান আলী থানায় ঘটে চলেছে। এ সকল ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু তাদের কর্মকা-ের কোন পরিবর্তন হয়নি। তারা নিজেরা না পেরে পুলিশের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় সদস্য এবং আওয়ামী লীগের ভিতরে অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। যার ফলশ্রুতিতে খানজাহান আলী থানায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুকুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে প্রকৃত দোষীদের আইন আমলে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রদান করতে হবে। অন্যথায় দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করা হবে। আর সেজন্যে কোন ধরনের ক্ষতি হলে তার দায়ভার পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদেরকেই বহন করতে হবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বিজিএ’র চেয়ারম্যান শেখ হায়দার আলী, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ^াস, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাশার, সদর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বন্দ ও খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আনিছুর রহমান।