UsharAlo logo
শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কম, তারপরও তৎপর কেসিসি

koushikkln
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১ ৬:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কম, তারপরও তৎপর রয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গত ২৫ দিনে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর ৭০ভাগই খুলনার বাইরের বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ১৪ আগস্ট চালুর পর এক মাসেরও কম সময়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডেঙ্গু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছে ৩০ জন রোড়ী। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ০৫ জন। এর মধ্যে ১৩ জন খুলনা জেলার বাসিন্দা। যার মধ্যে ,মাত্র ০৪ জনের বাড়ি খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১ জন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ভর্তি রোগীর ৭০ শতাংশই বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে এসে অসুস্থ্ হয়েছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের মুখপাত্র ডাঃ উৎপল কুমার চন্দ বলেন, ভর্তি রোগীর ৭০ শতাংশই ঢাকা থেকে এসে তারপর অসুস্থ্য হয়েছেন। আর যারা নিজ এলাকায় থেকে অসুস্থ্য হয়েছেন তারা খুলনা জেলা বা সিটি কর্পোরেশন এলাকার নয়। তারপরও বর্ষা মৌসুমে বাড়ী ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকতে বলছেন তিনি। পাশাপাশি সন্ধ্যা ও ভোর বেলায় এডিশ মশার প্রকোপ বাড়ে এই সময়েও সকলকে মশা থেকে সাবধান থাকতে বলছেন তিনি।
রোগীর সংখ্যা কম বলে থেমে নেই খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রম। সকালে নগরীর ড্রেন গুলোতে ছিটানো হচ্ছে লার্ভি সাইড বা কালো তেল। বিকালে ফগার মেশিনদিয়ে করা হয় এক্সপ্রে। পাশাপাশি সনাক্তরোগীর বাড়ী ও তার আশপাশের এলাকায় চালানো হয় মশক নিধন অভিযান। কার্যক্রমকে গতিশীল করতে নতুন করে যোগ করা হয়েছে ২০টি ফগার মেশিন, টেন্ডার দেওয়া হয়েছে ২০০০ লিটার লার্ভি সাইড।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান কঞ্চারভেন্সি অফিসার মোঃ আব্দুল আজিজ জানান, আমাদের বহরে জার্মানি থেকে আনা আরো ২০টি ফগার মেশিন যোগ হয়েছে। বর্তমানে আমাদের ফগার মেশিনের সংখ্যা ৬৮টি। গত অর্থ বছরে যেখানে আমরা ১হাজার থেকে ১৫শত লিটকার লার্ভি সাইড ব্যবহার করতাম সেখানে আগামী অর্থ বছরে ২হাজার লিটার লার্ভি সাইড অর্ডার করেছি টেন্ডারের মাধ্যমে। প্রতি বছর গড়ে ৩হাজার লিটার কালো তেল ব্যবহার করা হয় মশক নিধনে।
তারপরও তিনি বলছেন, আমরা বর্ষা মৌসুমে বিশেষ করে ডেঙ্গুর এই সময়ে আমাদের মশক নিধন কার্যক্রম আরো বাড়িয়ে দিই। যেখানে দিনে দুই বার লার্ভি সাইড বা কালোতেল ছিটানো ও ফগার মেশিন এক্সপ্রে করা হতো সেখানে চার বার করা হয়। আর আক্রান্ত ব্যাক্তির বাড়ি  ও তার আশাপাশেও চালানো হয় মশক নিধন অভিযান। এমনকি বাড়ির ভিতরের ড্রেনেও আমরা বর্ষা মৌসুমে লার্ভি সাইড বা কালো তেল ছিটায়ে দিচ্ছি।
এতোকিছুর পরও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমের পাশাপাশি সকলকে সচেতন হওয়ার তাগিদ চিকিৎসকদের।