UsharAlo logo
রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড্রেজিংয়ের বালি ফেলে কৃষিজমির ক্ষতি না করে তা রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন

usharalodesk
জুলাই ১৮, ২০২১ ৪:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : মোংলা বন্দর কর্তৃক পশুর নদী ড্রেজিংয়ের বালি ফেলে কৃষিজমির ক্ষতি না করে কৃষকদের জীবিকা রক্ষার দাবীতে  আজ(রবিবার) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে পরিবেশবাদী সংগঠন চিলা ইউনিয়ন কৃষি জমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটি, পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চ, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-র যৌথ উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চ’র আহবায়ক নাগরিকনেতা অ্যাড. কুদরত-ই-খুদার সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাগেরহাট জেলা সমন্বয়ক সাংবাদিক নূর আলমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কৃষক সমিতির খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এ রশীদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক-বাসদের খুলনা জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নাণ্টু, সিপিবি মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও বাপা’র সমন্বয়ক অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, নারী নেত্রী অ্যাড. শামীমা সুলতানা শিলু, বেলা’র বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, সিডিপি’র বিভাগীয় সমন্বয়কারী এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল রক্ষা কমিটি’র সবুর রানা, অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকী, শিক্ষক নেতা নিতাই পাল, বাসদের আব্দুল করিম, খুলনা মহানগর যুব ইউনিয়নের সভাপতি আফজাল হোসেন রাজু, আগুয়ান-৭১ এর সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ চৌধুরী, টিইউসি নেতা এস এম চন্দন, শাহ ওয়াহিদুজ্জামান জাহাঙ্গীর, ছায়াবৃক্ষের মাহবুব আলম বাদশা, চিলা ইউনিয়ন কৃষি জমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটি’র মোঃ আলম গাজী, আব্দুল কুদ্দুস, মোঃ হানিফ ফকির, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম খুলনা জেলা সভাপতি কোহিনুর আক্তার কনা, শেখ সাইফুল্লাহ, আবিদ শান্ত, মোঃ সেলিম মোল্লা, মুশফিক প্রমুখ।

মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃক পশুর নদী ড্রেজিংয়ের বালি ফেলে চিলা ইউনিয়নের ৭০০ একর কৃষি জমির ক্ষতি করছে, যা কৃষকদের জীবিকার হুমকির মুখে পড়ছে। বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের সুন্দুরতলা, তেলিখালী, আমতলা, গাববুনিয়া, কলাতলা, কেয়াবুনিয়া ও চিলা গ্রামের কৃষিনির্ভর জনগোষ্ঠী। দীর্ঘদিন থেকে বংশ পরম্পরায় সুন্দুরতলা, তেলিখালী, আমতলা, গাববুনিয়া, কলাতলা, কেয়াবুনিয়া ও চিলা গ্রামের অন্তর্গত পশুর নদীর পাড়ের কৃষি জমিতে ধান ও মাছ চাষ করে এলাকাবাসী জীবন-জীবিকা অতিবাহিত করে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ পশুর নদী ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় নদী ড্রেজিং করে সেই বালি কৃষিজমিতে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ৭০০ একর কৃষিজমিতে এই বালি ফেলা হবে। ইতিমধ্যে গত ১৩ মার্চ থেকে কিছু এলাকায় জমির মালিকদের সাথে কোন ধরনের আলাপ-আলোচনা ছাড়াই বালি ফেলা শুরু করেছে। চলমান ড্রেজিং কার্য্যক্রমে ইতিমধ্যে চিলা ইউনিয়নের প্রবাহমান কাটাখালি খাল ভরাট হয়ে গেছে। এছাড়া দুটি রাস্তা সম্পূর্ণরুপে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রমের আশে-পাশের বাড়ীঘর-আঙ্গিনা বালুময় হয়ে গেছে। সে কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গুন্ডাবাহিনী দ্বারা ভয়-ভীতি এবং হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। এমন কী তারা গত ১৭ এপ্রিল সশস্ত্র অবস্থায় রাতের বেলায় তেলিখালি গ্রামে যেয়ে গ্রামবাসীকে হুমকি দিয়ে আসে। জুলাই মাসে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গুন্ডারা জমির মালিকদের কয়েক দফা হুমকি দিয়ে এসেছে। তারা জমির মালিকদের মাছের ঘের শুকানোর কথা বলছে যেন ড্রেজিংয়ের বালি ফেলা যায়। এখন সব কৃষকদের মৎস্য খামারে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ রয়েছে। এছাড়া কৃষকরা প্রস্তুতি নিচ্ছে আমন ধান চাষ করার। সেই মুহুর্তে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গুন্ডাদের এহেন কর্মকান্ডে কৃষকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বক্তারা বিষয়টি বিবেচনা করে, পশুর নদীর ড্রেজিং-এর বালি অন্যত্র ফেলে মংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের সাত গ্রামের কৃষিজমি ও কৃষকদের জীবিকা রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, সরকার, প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান।

(ঊষার আলো-আরএম)