UsharAlo logo
সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি’র ত্রাণ কাজে হামলায় দায়ীদের শাস্তির দাবি

usharalodesk
জুন ১৬, ২০২১ ৬:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : কয়রা-পাইকগাছা উপজেলায় বিএনপি’র ত্রাণ কাজে বাঁধা ও হামলা করে থানা পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে উল্লেখ করেছেন খুলনার ৩১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বুধবার (১৬ জুন) প্রদত্ত বিবৃতিতে নাগরিকবৃন্দ উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রযন্ত্র জনগণের সেবক না হয়ে নির্দয় আচরণ করলে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, লঙ্ঘিত হয় মানবাধিকার। গত ১২ জুন খুলনা জেলার কয়রা ও পাইকগাছা থানা পুলিশ যা করেছে তার শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয়, এটি একটি গণতান্ত্রিক স্বাধীন দেশের বিরোধী মত দমনে নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ এবং এটি বে-আইনি ও ক্ষমতার অপব্যবহার।
খুলনা বিএনপি ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত উপক‚লীয় অঞ্চলের বাস্তুভিটাহীন নিরন্ন মানুষের জন্য সাহায্য হিসেবে তাদের মুখের খাবার নিয়ে গিয়েছিল। তারাতো রাজনীতি করতে যায়নি। যখন কেউ বুভুক্ষ মানুষের পাশে দাড়ায়নি তখন খুলনা বিএনপি ত্রাণ বিতরণ কমসূচি গ্রহণ করে দৃষ্টাস্ত স্থাপন করেছে। আর তাদের সেই মানবিক সাহায্য কর্মসূচিতে হামলা, মারপিট, নামাজ ও আহার করতে না দেয়া, ২ ত্রাণকর্মীকে আহত করার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। খুলনা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মানবিক গুনাবলি সকলের কাছে সম্মান ও মর্যাদার। সেই সকল নেতৃবৃন্দকে হেনস্তা, অসম্মান, চোখ রাঙ্গিয়ে হুমকি ও ভয় দেখানো কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। জঘন্য এই কাজটি যারা করেছেন সেই দারোগা মিন্টু ও সাইফুলসহ জড়িত পুলিশ সদস্যদের আমরা শাস্তির দাবি করছি। আমরা মনে করি ত্রাণ বিতরণ কাজের মত স্বীকৃত মানবিক কাজে কারো অনুমতির প্রয়োজন নেই, বরং ঘূণিঝড় বিধ্বস্ত অঞ্চলের অভাবী, নিরন্ন মানুষের পাশে সকলকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্র ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহব্বান জানানো উচিত, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহকে নিরাপত্তা দেয়া উচিত। যে সরকার কিছুই করছেন না বরং যারা মানবিক কাজ করছেন তাদের উপর যদি হামলা হয় তাহলে ভবিষ্যতে কেউ জাতীয় দূর্যোগে সাহায্য নিয়ে জনগণের পাশে দাড়াবে না। এ ধরনের নীনন্দীয় কাজ যাতে না হয় তার জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
বিবৃতিদাতা ৩১ বিশিষ্ট নাগরিক হলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু জাফর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল মান্নান, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, ডাঃ রফিকুল ইসলাম বাবলু, অধ্যাপক ডাঃ শেখ আকতারুজ্জামান, ডাঃ মোঃ শাহজাহান আলী, প্রফেসর মোঃ খায়রুল আলম, প্রফেসর ড. নাজমুস সাদত, প্রফেরস শেখ মাহামুদুল হাসান, এ্যাড, গাজী আব্দুল বারি, এ্যাড. বজলুর রহমান, এ্যাড. আব্দুল মালেক, এ্যাড. আব্দুল্লাহ হোসেন, এ্যাড. শেখ আব্দুল আজিজ, এ্যাড. মোহাম্মদ ইউনুস, এ্যাড. এস আর ফারুক, এ্যাড. মাসুদ হোসেন রনি, এ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, সাংবাদিক মোঃ আনিসুজ্জামান, সাংবাদিক আবু তৈয়ব মুন্সী, সাংবাদিক মোঃ সোহরাব হোসেন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিলটন, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবলু, এ্যাড. মশিউর রহমান নান্নু, অধ্যাপক মুন্সি শফিকুল আলম, এ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনি, কাউন্সিলর শমসের আলী মিন্টু, কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, পরিবেশ সংগঠক মাহাবুব আলম বাদশা।