UsharAlo logo
শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যুব ইউনিয়নের খুলনা বিভাগীয় সমন্বয় টিমের জুম মিটিং

usharalodesk
মে ১১, ২০২১ ৯:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : কর্মসংস্থানের দাবিতে আন্দোলন বেগবান ও সারাদেশে কর্মপ্রত্যাশীদের নিবন্ধন কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের বিভাগীয় সমন্বয় টিমের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৯ মে রাত ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ভার্চুয়াল মিডিয়া জুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার-এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফিজ আদনান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, প্রেসিডিয়াম সদস্য অভিনয় শিল্পী সুমনা সোমা, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম জুয়েল, খুলনা জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাড. নিত্যানন্দ ঢালী, ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য আবু তোয়াব অপু, খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত মুখার্জি, বাগেরহাট জেলা যুগ্ম আহবায়ক রুমান মাহমুদ, মেহেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক সোহেল খন্দকার, চুয়াডাঙ্গা জেলা নেতা শহিদ জামাল, সাতক্ষীরা জেলার প্রতিনিধি জামসিদ হাসান জিকু, নড়াইল জেলার প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম শিমুল মোল্লা, নড়াইল জেলার দায়িত্ব প্রাপ্তনেতা ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় পরিষদ সদস্য ইরান মোল্লা প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়েছে। যেকোন প্রক্রিয়ায় প্রবৃদ্ধি সূচকের সংখ্যা পুরণে সরকারের যে প্রচেষ্টা, তা নিছক ব্যর্থতাকে আড়ালের কৌশল বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও সমাজের দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সামনে জীবন-জীবিকার সংকট। এই মুহূর্তে বৃহত্তর তরুণ ও যুব জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি অন্যতম একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। মোট বেকারত্বের মধ্যে বেকার যুবকদের সংখ্যা ৭৯ দশমিক ৬ শতাংশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও কর্মসংস্থান সমস্যা সমাধানে তা সাফল্য দেখাতে পারেনি। যে উন্নয়ন পরিকল্পনায় নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না, তা যতই চকচকে হোক না কেন, প্রকারন্তরে তা ফাঁপা এবং সরকারের ব্যর্থতাকে আড়ালের অপকৌশল মাত্র। গত বছর করোনায় চাকরিচ্যুত হয়েছিল শতকরা ৩৬ জন মানুষ। অনেকের চাকরি থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত বেতন-ভাতা পাননি। করোনা সংকটে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েই বিপদগ্রস্থ আছে এখনো। করোনার কারণে নতুন করে দারিদ্র্যতা বাড়ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ গ্রামে ফিরে গেছেন সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে। চাকরির বাজার হ্রাস পাবার কারণে অনেক তরুণকে হতাশার মধ্যে ফেলেছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা শ্রমবাজারের জন্য দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত দক্ষ কর্মীদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম নয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পড়াশোনা বিশেষ দক্ষতার অভাবে পড়াশুনা সম্পন্ন তরুণ-তরুণীদের চাকরির বাজারের চাহিদা মেটাতে পারছে না। আমাদের বিভিন্ন নীতিমালাসহ জাতীয় যুবনীতি-২০১৭’এ যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর যথেষ্ট মনোযোগ দেয়া হয়নি। নীতিমালায় তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হলেও কোনো কার্যকর পরিকল্পনা নেই। সভায় দেশব্যাপী কর্মসংস্থানের দাবীতে আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতি এবং কর্মপ্রত্যাশীদের নিবন্ধন আগামী ২ মাসের মধ্যে সম্পন্ন ও নিবন্ধন শেষে ঢাকায় কর্মপ্রত্যাশীদের জাতীয় যুব সমাবেশ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানান।

(ঊষার আলো-এমএনএস)