ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি : নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মহেশ^রপাশা বনিকপাড়া রহিমা বেগম অপহরন মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নং আসামি মোঃ হেলাল শরীফ এর স্ত্রী মনিরা আকতার নিজ স্বামীসহ এ মামলায় আটককৃত দের নির্দোশ দাবি করে সঠিকতদন্ত সাপেক্ষে সকলের মুক্তির দাবিতে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় ফুলবাড়ীগেট মমতা ক্লিনিক রোডসংলগ্ন নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন আমার স্বামীকে গত ৩০ আগস্ট রাত ৮ টায় দৌলতপুর থানা পুলিশ মহেশ^রপাশা বনিকপাড়া মৃত আঃ মান্নান এর স্ত্রী রহিমা বেগম নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে যায়, এর পর রহিমা বেগম এর কন্যা আদুরী আক্তার (২২) এর দায়ের করা মামলায় আটক দেখায় এবং পরদিনই আদালতে তোলে বর্তমানে আমার স্বামী সহ ৫ জন ওই মামলাতে জেলে রয়েছে।
আদুরী আক্তারের থানায় দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানতে পারি, তার মা রহিমা বেগম (৫২) ২৭ /০৮/২২ ইং তাং মহেশ^রপাশা খানাবাড়ী রাত আনুমানিক সোয়া ১১টা বাসার নিচে টিউবয়েল থেকে খাবার পানি আনতে যায় এর পর থেকে নিখোজ হয়। আমার স্বামী এ ব্যাপারে কিছু না জানার পর আজ প্রায় একমাস তাকে অন্যায়ভাবে জেলে থাকতে হচ্ছে। রহিমা বেগমের সৎ ছেলে একজন মোহরীর কাছ জমি বিক্রয় করে।
২০১৯ সালে আমার স্বামী ও এ মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামি কিবরিয়া ওই মহুরীর নিকট থেকে একটি জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে রহিমা বেগমরে অপর সৎ ছেলের নিকট থেকে সেখানের আরেকটু জমি বিক্রয় করলে সেই জমি কেনা হয়। জমি নিয়ে এতদিন কোন কথা না উঠলেও কয়েকদিন আগে আমার স্বামী যখন ওই জমির দখলে যেতে চাই তখন রহিমা বেগম বিভিন্ন দ্বন্দের সৃষ্টি করেন, এসময় আমার স্বামী ও কিবরিয়া ভাই রহিমা বেগমের এক মেয়ের কাছে উক্ত জমিটি তাদের পুনরায় ক্রয় করার কথা বললেও তিনি সেটা মানেননি। এরপর স্থানীয় ১ নম্বও ওয়ার্ড কমিশনার এর কাছে আমার স্বামী এ ব্যাপারে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ সমাধানের সিদ্ধান্ত হলেও ওয়ার্ড কমিশনারের শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিষয়টি স্থগিত হয়ে যায়। এর পর উক্ত বিষয়টি নিয়ে আমার স্বামীসহ কয়েকজনের নামে মিথ্য মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আমার স্বামী জামিনে আসলে এখন নতুন করে রহিমা বেগম গুম হয়েছে এ মামলায আমার স্বামীসহ ৫ জনের নামে মিথ্যা মামলা দেয়। আমার স্বামীর দোষ এতটুকুই যে সে তার পরিশ্রমের টাকা দিয়ে আজ জমি কিনেছে , গত ২ বছর আগে আমার শাশুড়ী মারা গেছে, আমার শশুর বর্তমানে প্যারালাইসিস এ আক্রান্ত সে ঠিকমতো কথাও বলতে পারেনা। সন্তানের জন্য আজ সে পাগলপ্রায় কোন দোষ না করার পরও শুধুমাত্র সন্দেহের বশত আমার স্বামীকে জেল খাটতে হচ্ছে। আমি চাই, রহিমা বেগম ফিরে আসুক। আমার স্বামী আজ কিছু না জেনেও জেলে কষ্ট পাচ্ছে। আর আমি আমার ৩ ছেলে মেয়ে ও অসুস্থ শশুরকে নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছি । আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ তার প্রেসারসহ হার্ডের সমস্যা রয়েছে, অতিদ্রত সঠিক তদন্তের মধ্যে দিয়ে আমার স্বামী আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। এব্যাপারে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন ,এমন একটা সময় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে গ্রেফতার দেখানো হলো যখন আমি অন্তসত্ত¡া। গত ৬ সেপ্টেম্বর আমার তৃতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম গ্রহণ করে। যে সময় আমার স্বামীকে আমি কাছে পাইনি, আমরা ছোট মেয়েটার মুখ আজো দেখতে পারেনি আমার স্বামী মেয়ের বয়স আজ ২০ দিন অতিবাহিত হচ্ছে, আমি দৌলতপুর থানা পুলিশ, পিবিআই, র্যাবসহ সরকারের সকল তদন্তসংস্থার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে আপনাদের উপর রয়েছে আমার অগাধ বিশ^াস ও আস্থা , আমি বিশ^াস করে প্রতিটি বিষয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করা হোক ফিরে আসুক রহিমা বেগম আর শুধুমাত্র সন্দেহের বশত আমার স্বামীসহ নির্দোশ ৫ জন অচিরেই মুক্তি পাক জেলখানার ওই বন্দী জীবন থেকে। এ সময় তার পরিবারের অন্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।