UsharAlo logo
শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীরা আর ঘরে ফিরে যাবেনা : বিএনপি

koushikkln
সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ ১০:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে খুলনায় বর্ণাঢ্য র‌্যালী করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বিএনপির মহানগর ও জেলার অর্ন্তগত সকল থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, কৃষক দল, শ্রমিক দলসহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের  হাজার হাজার কর্মী র‌্যালীতে অংশ নেন।

দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দেন, নারায়নগঞ্জে যুবদল নেতা শাওনকে হত্যার মাধ্যমে সরকার তার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছে। এই ফ্যাসিস্ট, জালেম, লুটেরা, তাবেদার ও ভোট চোর সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীরা আর ঘরে ফিরে যাবেনা।

বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চে আনুষ্ঠনিকভাবে র‌্যালী পূর্ব সমাবেশের কাজ শুরু হয়। তবে দুপুর থেকেই এই স্থানসহ আশেপাশের সকল স্থান ছিল কার্যত পুলিশ দ্বারা অবরুদ্ধ।

মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম জহির। দোয়ায় গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি এবং ফ্যাসিবাদী শাসকের জুলম নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য রাব্বুল আলামিনের সাহায্য কামনা করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজিজুল বারী হেলাল বলেন, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বিএনপি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্ত এই খুলনায় গত কয়েকদিনে বিএনপির কর্মসূচিতে বারবার ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর, দিঘলিয়া, খানজাহান আলী থানায় বিএনপির কর্মীদের কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ নারায়ানগঞ্জে যুবদল নেতা শাওনকে হত্যা করে সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজেছে। তিনি অবিলম্বে গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান।

বিশেষ অতিথি রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, এ জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশের সকল সংকট ও দূর্বিপাকের কালে বিএনপি জনগনের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। ভোলায় নূরে আলম, আব্দুর রহমান এবং আজ নারায়ানগঞ্জে শাওন হত্যাকান্ডের তিব্র নিন্দা জানিয়ে বকুল বলেন, এই সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। পতন নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমার আর ঘরে ফিরে যাবোনা। তিনি বলেন, ব্যর্থ অযোগ্য লুটেরা সরকার দেশকে শ্রীলংকার পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্ত আমার চাই না দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে সরকার একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুক। কিন্ত তা না করে যদি আবারও একটি মধ্যরাতের নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করা হয়, তবে বিএনপি সেই নির্বাচনে তো যাবেই না, এমনকি সেই নির্বাচন হতে দেবেনা। দেশনায়ক তারেক রহমানের বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যাবে কোন পথে ফয়সাল হবে রাজপথে। দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত আন্দোলনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়বে। সেই আগুণে শেখ হাসিনার ময়ুর সিংহাসন পুড়ে যাবে।
বিকেল ৫ টার দিকে থানার মোড় থেকে র‌্যালী শুরু হয়। র‌্যালীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের বিশালাকৃতির পোট্রেট, জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার, প্লাকার্ড বহন করা হয়। এ সময় সরকারের পতন দাবি করে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়কদের মধ্যে খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, সাইফুর রহমান, রেহানা ঈসা, এস এ রহমান বাবুল, এ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, মোস্তফা উল বারী লাভলু, শের আলম সান্টু, মোল্লা মোশারফ হোসেন, আবুল কালাম জিয়া, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, বদরুল আনাম খান, শেখ তৈয়েবুর রহমান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শামীম কবির, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, একরামুল হক হেলাল, শামসুল আলম পিন্টু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, এনামুল হক সজল, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, মহানগর ও জেলা বিএনপির সদস্য চৌধুরী কওসার আলী, শেখ জাহিদুল ইসলাম, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, খায়রুল ইসলাম খান জনি, আশফাকুর রহমান কাকন, ওয়াহিদ ইমরান, ওয়াহিদুর রহমান দীপু, বেগ তানভিরুল আযম, শাহিনুল ইসলাম পাখী, শাকিল আহমেদ, রোবায়েদ হোসেন বাবু, এ কে এম শহিদুল আলম, মুর্শিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, শেখ আজগর আলী, এ্যাড. মাসুম রশিদ, মোল্লা এনামুল কবির, কে এম হুমায়ুন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, মোঃ হাফিজুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, আনিসুর রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, সুলতান মাহমুদ, কাজী মিজানুর রহমান, এহতেশামুল হক শাওন, এ্যাড. তৌহিদুর রহমান তুষার, মুর্শিদুর রহমান লিটন, একরামুল কবির মিল্টন, নাজমুস সাকির পিন্টু, জহর মীর, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, আরিফ রহমান, হাবিবুর রহমান বিশ^াস, খন্দকার ফারুক হোসেন, হাসানউল্লাহ বুলবুল, সেলিম সরদার, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী বাবু, সরোয়ার হোসেন, শরিফুল আনাম, রফিকুল ইসলাম বাবু, শেখ জামালউদ্দিন, মোঃ আব্দুল হালিম, সাইদুজ্জামান খান, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, হাসনাত রিজভী মার্শাল, গাজী আফসারউদ্দিন, সরদার আব্দুল মালেক, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, রাহাত আলী লাচ্চু, মল্লিক আব্দুস সালাম, নাসির খান, টিটু ভূইয়া,আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান, আলমগীর হোসেন, কাজী শাহনেওয়াজ নীরু, নুরুল আমিন, আব্দুর রহমান ডিনো, শাহাদাত হোসেন, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, দিদারুল হোসেন, তারিকুল ইসলাম, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, মোঃ জাহিদ হোসেন জাহিদ, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, শামসুল বারিক পান্না, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, যুবদলের ইবাদুল হক রুবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আতাউর রহমান রুনু, মহিলা দলের এ্যাড, তছলিমা খাতুন ছন্দা, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, সেতারা সুলতানা, ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, মোঃ তাজিম বিশ^াস, শ্রমিক দলের খান ইসমাইল হোসেন, কৃষক দলের আকতারুজ্জামান সজীব, মোল্লা কবির হোসেন, শেখ আদনান ইসলাম দীপ, মৎস্যজীবী দলের শেখ হেমায়েত হোসেন, জাসাসের ইঞ্জিনিয়ার নুর ইসলাম বাচ্চু, নুরুজ্জামান নিশাত, মোল্লা সাইফুর রহমান, এনামুল হক প্রমুখ।