UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণে থোক বরাদ্দের দাবি বাপা’র

usharalodesk
জুন ১৩, ২০২১ ৯:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : স্থায়ী ও টেকসই উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয়তা যাচাইপূর্বক থোক অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), খুলনা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে স্থায়ীভাবে টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণের দাবী দীর্ঘদিনের। বাঁধ কেটে লবণ পানি উত্তোলনের কারণে বেড়িবাঁধ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। অনেক সময় জোয়ারের পানির চাপেও এ বাঁধ ভেঙ্গে গ্রামের পর গ্র্রাম, ফসলের মাঠ তথা বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ঝড়-জলোচ্ছাস হলে তো কথাই নেই। কখনও কখনও টিকে থাকার স্বার্থে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এ বাঁধ সংস্কার করে থাকেন। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে মূলত কাদামাটি দিয়ে এ সংস্কার করার কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরবর্তীতে জোয়ারের পানিতেই তা ভেসে যায়। বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছাসের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নড়েচড়ে বসতে দেখা যায়। বেড়ীবাঁধ নির্মাণে প্রতিশ্রুতিও মেলে প্রতিবার। কিন্তু তা কথার কথা থেকে যায়। বাঁধ সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সময় অর্থ বরাদ্দ হলেও দুর্নীতির কারণে, স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতার অভাবে সিংহভাগ অর্থই লোপাট হয়ে যায়। সর্বশেষ ইয়াসের তাণ্ডবে উপকূলীয় বিস্তীর্ণ এলাকা মনুষ্য বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফসলের মাঠে লবণের পুরু স্তর পড়ে যাওয়ায় আগামী কত বছরে ফসল হবে তার কোনো ইয়াত্তা নেই। নেতৃবৃন্দ বলেন, উপকূলীয় বিস্তীর্ণ অঞ্চল দেশের অংশ। একদিকে যেমন এখানকার বাসিন্দাদের ঝড়-জলোচ্ছাসের হাত থেকে রক্ষা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তেমনি এ বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে উন্নয়নের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা এবং সম্ভাবনাময়ী এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থেই কাজে লাগাতে হবে। নেতৃবৃন্দ উপকূলীয় অঞ্চলে স্থায়ী ও টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণে অর্থের প্রয়োজনীয়তা যাচাই সাপেক্ষে পর্যাপ্ত থোক অর্থ বরাদ্দের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন সংগঠনের খুলনা জেলা সমন্বয়কারী এড. মোঃ বাবুল হাওলদার, নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে মাহফুজুর রহমান মুকুল, এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, এস এম দেলোয়ার হোসেন, খ ম শাহীন হোসেন, আফজাল হোসেন রাজু, বাকের আহমেদ, মাহবুবুল আলম বাদশা, এড. নিত্যানন্দ ঢালী, মাহবুবুল হক, রামপ্রসাদ রায়, নয়ন কুমার দে প্রমুখ।
(ঊষার আলো-এমএনএস)