UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যমুনার তীব্র ভাঙনে ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

usharalodesk
জুন ৬, ২০২১ ১:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। পানি বৃদ্ধিতে বন্যার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
১ সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে এনায়েতপুরের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এনায়েতপুর থানা, কাপড়ের হাটসহ ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জেলার চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় নদী ভাঙনের তীব্রতা অনেক বেশি। ফলে ১ সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় যমুনা পাড়ের মানুষগুলো ভাঙন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
চৌহালী উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, নদী ভাঙনে বসত ভিটা ও ফসলি জমির সাথে সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেঙে যাচ্ছে। অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে পশ্চিম সম্ভুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম হাটাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাষ মধ্য শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিজুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, থাক মধ্যশিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্যশিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিশ্রিগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাউশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শৈলজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বারবয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউসুফ শাহী সলঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিলজলহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটাইল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
গুশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেছেন, নদী ভাঙনের কারণে স্কুল ঘর ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। করোনা সংকট শেষ হলে চরাঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের পুরনো ঠিকানা ভুলে যাবে। তীর সংরক্ষণে নদীর পেটে বালির বস্তা ডাম্পিংয়ের দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ থেকে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প নিয়েছে পাউবো। প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন পেলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

(ঊষার আলো- এম.এইচ)