UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতপুরে গৃহবধূ হত্যা না আত্মহত্যা : নানা গুঞ্জন

koushikkln
এপ্রিল ১৭, ২০২১ ৩:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মধ্যডাঙ্গা গ্রামের গৃহবধূ বারেয়া বেগমের মৃত্যুর ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে ১৭ এপ্রিল ( শনিবার) দিনব্যাপী ওই গ্রামে নানা ধরণের গুঞ্জন উঠেছে। গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে মধ্যডাঙা প্রাইমারী স্কুলের পাশের বাসিন্দা শেখ আজিজের মেয়ে রাবেয়া বেগম (২৫)’র মৃতদেহ ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। তাকে খুমেক হাসপাতালের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এ ব্যাপারে গত ১৪ এপ্রিল দুপুরে রাবেয়ার বড় ভাই আজমল শেখ বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও সহায়তা করার অপরাধে মোঃ মাহমুদ (৩৪) ও অপর আসামী মাহমুদের কথিত পরকীয়া প্রেমিকা সুলতানের মেয়ে মোসাঃ নাজমিন (২৫) কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
বাদীর অভিযোগে উল্লেখ্য, বিয়ের পর হতেই আসামী মাহমুদ আমার বোনকে বিভিন্ন সময়ে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে। প্রায় ছয় মাস মধ্যডাঙ্গা ফাল্গুনীর মোড়ের বাসিন্দা সুলতানের মেয়ে মোসাঃ নাজমিন সাথে পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠেছে। আমার বোন মাহমুদের এ সর্ম্পকের কথা জানতে পারলে মাহমুদ আমার বোনের উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের তীব্রতা আরো বাড়িয়ে দেয়। বলে, তুই আত্মহত্যা করলে আমি অন্যত্র ভালো জায়গায় বিয়ে করতে পারতাম আর যৌতুকের টাকা নিয়ে ব্যবসা করতে পারতাম। মাহমুদ ও নাজমিনের মানসিক নির্যাতনের ফলে আমার বোন মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এ জের ধরেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে বাদী দাবি করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তাপস কুমার আঢ্য ইতিমধ্যেই ১৬১ ধারা (স্বাক্ষীর স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি) গ্রহণ করেন। রাবেয়ার বড় ভাই ও মা কোন অবস্থাতেই এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসাবে মেনে নিতে পারছেনা না। নাজমিনের সাথে পরকীয়ায় জের ধরে উভয়ের জোগ সাজোসে হয়তোবা রাবেয়াকে শ্বাসরুদ্ধ করে নিজের দায়মুক্তির জন্য নাটকীয়ভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা হিসাবে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে মাহমুদ বলে তাদের অভিমত। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। আসলেই এটি আত্মহত্যা না হত্যা?
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাপস কুমার আঢ্য জানান, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিরে ইতিমধ্যে এজাহার নামীয় আসামী মাহমুদ কে আটক করা হয়েছে। অপর আসামী মাহমুদের কথিত প্রমিকা মোসাঃ নাজমিনকে আটকের জোরদার প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। তিনি আরো জানান, এটি আত্মহত্যা না শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি শ্বাসরুদ্ধের মাধ্যমে হত্যা।