ঊষার আলো প্রতিবেদক : “মাছে-ভাতে বাঙালি”- এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে যেন মাছ না হলেই বাঙালির খাওয়ার পরিপূর্ণতাই আসে না। তাই প্রতিদিনের বাজারে বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের তালিকায় মাছ থাকলেই হয়। তাই সাধ্যানুসারে প্রায় কম বেশি সকলেই মাছ কিনে থাকে। প্রতিদিনই নগরীর দৌলতপুরে ঐতিহ্যবাহী মাছ বাজারে দেশীয় মাছের সমাহার ঘটছে। মাছ কেনার জন্য দৌলতপুরের আশপাশের অঞ্চল দেয়ানা, মধ্যডাঙ্গা, পাবলা, গাইকুড়, কাশিপুর, দেয়াড়া, পালপাড়া, রেলিগেট, মানিকতলা, ইস্পাহানী কলোনী, নগরসহ বিভিন্ন এলাকা হতে ক্রেতাদের সমাগম ঘটছে। প্রতিদিনই এই বাজার শুরু হয় সকাল ৮টা হতে শুরু করে দুপুর ৩টা পর্যন্ত তবে বরফজাত মাছগুলো আরও বেলা পর্যন্ত কেনাবেচা চলে। দেশি মাছ ছাড়া বাজারে সামুুদ্রিক মাছের দেখাও মিলছে।
মাছ বাজার ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, রুই, পাবদা, গলদা চিংড়ি, কই, সরপুঁটি, তেলাপিয়া, গ্লাসকার্প, মিনারকার্প, ভেটকি, সামুদ্রিক ভাঙন, সামুদ্রিক কংকন, সামুদ্রিক মোসল, লইলে, মৃগেল, সিলভারকার্প, কাতলা, পোয়া, বাইলে, দাতনে, পাঙ্গাস, বাইন, বোয়াল, চাইনিজ পুটি, ট্যাংড়া, রুপচাদাসহ বিভিন্ন প্রকারের মাছ বিক্রি হচ্ছে।
তবে বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন , বাজারে প্রচুর দেশিয় মাছের সমাহার থাকলে বিক্রেতারা একটু বেশি দাম নিচ্ছেন। এ অভিযোগের বিপরীতে অধিকাংশ মাছ ব্যবসায়ী বলেছেন, যখন যে দামে মাছ কেনা হয় তখন সেইদামে সামান্য লাভে মাছ বিক্রি করে থাকে। সরেজমিনে, বুধবার (১২ মে) রুই প্রতি কেজি ১২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৫০০ টাকা গলদা চিংড়ি ৭০০-১০০০ টাকা, চাষের কৈ ১৫০-২০০ টাকা, দেশি কৈ ৮০০-১০০০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০-১২০ টাকা, লাইলোটিকা বড় ২০০-২৫০ টাকা, গ্লাসকার্প ১৫০-২০০ টাকা, মিনারকার্প ১২০-২০০ টাকা, ভেটকি ২২০-৬৫০ টাকা, সামুদ্রিক ভাঙন ৪৫০ টাকা, সামুদ্রিক কংকন ২৬০ টাকা, মৃগেল ১০০ হতে ২৫০ টাকা, সিলভারকার্প ১২০-২০০ টাকা, কাতলা ১৫০-৪০০ টাকা, বাইলে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৬০ টাকা, বাইন ৩০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, ট্যাংড়া ৪০০-৬০০ টাকা, শিং ৮০০-১০০০ টাকা, পারসে ৪০০-৫৫০ টাকা, টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতা রুবেল বলেন, বাজারে প্রচুর দেশীয় মাছ উঠছে। তবে বাজার শুরুতে মাছের দাম একটু বেশি হলেও যত বেলা বাড়ে যত ব্যবসায়ীরা কম লাভে মাছ বিক্রি করে। বাজারে আসা ক্রেতা মামুন বলেন, বাজারে এসেছি মেয়ের জন্য দেশী কৈ বা শিং মাছ কেনার জন্য। কিন্তু এই মাছ বর্তমানে ৮০০-১০০০ টাকার নিচে কেজি নেই। অথচ বেশ কিছুদিন আছে খুব বেশি হলে ৫০০ টাকায় পাওয়া যেত।
দৌলতপুর বাজারে দেশীয় মাছের প্রচুর সমারহ ঘটলেও দাম একটু চড়া বলে মন্তব্য করেছেন বাজারে আসা অধিকাংশ ক্রেতারা।
(ঊষার আলো-এমএনএস)
