UsharAlo logo
বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাসায় চুরি

usharalodesk
জুন ১০, ২০২১ ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাংক কর্মকর্তার ভাড়া বাসার তালা ভেঙে নগদ ৪ লাখ টাকাসহ সাড়ে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি সংঘটিত হয়েছে। বুধবার(৯জুন) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে যে কোন সময়ে শহরের সাহাপাড়া ভিআইপি মোড়স্থ আব্দুর রবের মালিকানাধীন বাড়িতে ভাড়া থাকা ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বাসায় এই চুরির ঘটনাটি ঘটে।ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী তাসপিয়া জাহান দিপাও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। খবর পেয়ে এদিন বিকেলে পুলিশ চুরি হওয়া ওই বাসা পরিদর্শন করেছে। বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে সংঘবদ্ধ চোরের দল এই নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে বলে  পুলিশ ধারনা করছে। পুলিশ চুরির ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবে বলে জানিয়েছেন। ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী তাসপিয়া জাহান দিপা বলেন, আমার স্বামী রফিকুল ইসলাম বেসিক ব্যাংকে পটুয়াখালির কুয়াকাটা শাখার কর্মকর্তা। তিনি কুয়াকাটাতে থাকেন। আমি আমার ছেলেকে নিয়ে এই ভাড়া বাসায় থাকি। প্রতিদিনের মত বুধবার সকাল আটটার দিকে বাসায় তালা বন্ধ করে শহরের অদূরে চিতলী বৈটপুর এলাকার শামছুউদ্দিন নাহার ট্রাস্টের কার্যালয়ে চলে যাই। বিকেল ৪টার পর বাসায় ফিরে দেখি দরজার তালা ভাঙা। ঘরে ঢুকে দেখি আলমারি খোলা। এই আলমারিতে দশ দিন আগে ব্যাংক থেকে তুলে আনা নগদ ৪ লাখ টাকা ও স্বর্ণের চেইন, আটটি আংটি, ব্রেসলেটসহ প্রায় সাড়ে পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার রাখা ছিল। নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছাড়া চোরের দল আর কিছুই নেয়নি। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে ঘুরে গেছে। আমার শাশুড়ি হার্টের রুগি। তিনি খুবই অসুস্থ। যে কোন সময়ে তার অপারেশনের জন্য টাকা লাগবে তাই এই টাকা তুলে ঘরে রাখা হয়েছিল। যে বাড়িতে ভাড়া থাকি এই এলাকায় সব সময় লোকসমাগম থাকে। আমি বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরপরই ওৎ পেতে থাকা চোরের দল এই চুরি করেছে বলে ধারনা করছি। চোরের দল আমাদের সর্বশান্ত করে দিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বাগেরহাট মডেল থানার এস আই কুমারেশ বিশ্বাস জানান, চুরির খবর পেয়ে সেখানে যাই। চোরের দল ওই বাসার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আলমারিতে রাখা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই সংঘবদ্ধ চোরের দল এই চুরি করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। চুরির ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, চুরির খবর পেয়ে সেখানে পুলিশের একটি দলকে পাঠানো হয়। পরিবারের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে চুরির ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(ঊষার আলো-আরএম)