UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই নগরীর শপিংমলগুলোতে : চলেছে বৈশাখী কেনাকাটা

koushikkln
এপ্রিল ১৩, ২০২১ ৬:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : বাংলা ও বাঙ্গালী প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বুধাবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা সনের প্রথম দিন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারনে এবারের পহেলা বৈশাখ ধুমধামের সাথে কোথাও পালিত হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতিতে বৃহত্তর জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করেই নববর্ষে জনসমাগম না করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তবে দেশজুড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পহেলা বৈশাখে উদযাপিত না হলেও, করোনা সংক্রমন যেহেতু উর্দ্ধমূখি, তাই ঘরে বসেই দৌলতপুর বাসী পরিবার পরিজন নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে। করোনা সংক্রমণে অতিহারে বাড়া সত্ত্বেও পহেলা বৈশাখ তো আর থেমে থাকবে না। তাই বাচ্চাদের পোশাকসহ প্রসাধনী আর শাড়ি চুড়ি কেনার আবদারে অভিভাবকরা দিশে হারা, এমনই মন্তব্য অভিভাবকদের।
সরেজমিনে, দৌলতপুরের শপিংমল, মোর্ত্তজা ম্যান, যশোর-মহাসড়কের পাশে দোকান, চাঁদনী পট্টি, গার্মেন্টস পট্টি, ফুলবাড়ীগেটের শতাধীক গার্মেন্টেস দোকান গুলোতে, শিরোমনি কেডিএ মার্কেট ও বৈশাখী সুপার মার্কেট, খালিশপুর বিআরডিসি রোড সংলঘœ দোকান, খালিশপুর সুপার মার্কেট, খুলনা নিউমার্কেট, ডাকবাংলা সুপার মার্কেট, বড় বাজার মার্কেট, সেইফ এন সেইভ, খুলনা শপিং মার্কেট জলিল টাওয়ারসহ মহানগরীর বিপনী গুলোতে সরকারী স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে সকাল হতেই উঠতি বয়সী তরুনসহ বাচ্চাদের আনাগোনা দৃশ্যমান হয়। এমনভাবে জনসমাগমে চলাচল করছে যেন করোনার কোন আতঙ্ক নেই।
বড় বাজারে দিবায়ন বস্ত্রালয়ে আসা ক্রেতা শারমিন আক্তার বলেন, ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার কঠিন লকডাউন ঘোষণা করেছে। বাচ্চাদের বায়নায় আর ঘরে টিকতে পারছিনা, তাই বাধ্য হয়ে শপিং করার বাজারে এসেছি। তাছাড়া লকডাউন ঈদ পর্যন্ত নেটে দিলে তখন আর কেনাকাটার কোন উপায় থাকবেনা।
প্রবীর বস্ত্রালয়ের মালিক ব্যবসায়ী পরিতোষ সাহা বলেন, করোনা মহামারী প্রার্দুভাবের বিস্তার জানা সত্ত্বেও বৈশাখের কেনাকাটার জন্য ক্রেতা বাজারে আসছে। কেনাবেচা বেশ ভালো। তবে সরকারী স্বাস্ত্যবিধি মেনে দোকানে বেচা বিক্রি করছি।
অভিভাবক অনুপ কুমার ঘোষ বলেন, আমার একটি মাত্র মেয়ে বয়স ১৩ বছর। মেয়ের বায়নার শেষ নেই। যদিও লকাডাউনে এবার পহেলা বৈশাখে বাইরে যাওয়া যাবে না। তবুও লকাডাউন অপেক্ষা করে শাড়ি চুড়ি কিনে এনে দিতে হয়েছে।
অধ্যাপক ছাকেরা বানু বলেন, বাংলা ও বাঙ্গালী প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। করোনা সংক্রমনের কঠিন পরিস্থিতিতে বৃহত্তর জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করেই নববর্ষে জনসমাগম না করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার তাই বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে পরিবারের সবাই মিলে বাসায়ই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবো। সকালে পান্তা-ইলিশসহ দিয়ে বাঙ্গালীয়ান আয়োজনের মধ্যে দিনে শুরু করবো। আগামী দিনগুলো কেমন হবে জানি না। ফলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এ আয়োজন।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর ইসলাম বন্দ বলেন, আমরা যে বেঁচে আছি, সেটাই বড় কথা। বেঁচে থাকলে আবারও বৈশাখ উদযাপন করা যাবে। এবার না হয় দৌলতপুর সাদামাটা ঘরোয়া ভাবেই নববর্ষ উদযাপন করার আহবান জানাচ্ছি। বিনা প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে না আসতে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান। সবমিলিয়ে লকডাউন হলেও বাংলা ও বাঙ্গালীর প্রিয় উৎসব পহেলা বৈশাখ ঘরে বসে পরিবার পরিজন নিয়ে করবে এমনই প্রত্যাশা সকলের।