ঊষার আলো রিপোর্ট : রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে সাধারণ যাত্রী ও মোটরসাইকেলের চাপে জরুরি সেবা দেওয়া ফেরিগুলোতে উঠতে পারছেনা অ্যাম্বুলেন্স। ভোর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ লক্ষ্য করা গেছে।
দীর্ঘ সময় পর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে বেলা ১২ টায় রজনিগন্ধা ও সাড়ে ১২ টায় বনলতা নামে ২টি ফেরি পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এর আগে পাটুরিয়া থেকে মাধবীলতা নামে একটি ফেরি প্রথম ১১ টায় দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছায়।
দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া ২টি ফেরিতেই যাত্রী ছিল অনেক বেশি। এছাড়াও মোটরসাইকেলের চাপও ছিল অনেক। প্রতিটি ফেরিই শত শত যাত্রী ও মোটরসাইকেল নিয়ে ঘাট ত্যাগ করে।
এ সকল যাত্রী ও মোটরসাইকেলের চাপে অসহায় ছিল অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও রোগীর স্বজনরা। পুরো ফেরিই যাত্রী ও মোটরসাইকেলে জায়াগা দখল করে নেয়। যার কারণে অ্যাম্বুলেন্স আর ফেরিতে উঠতে পারেনি।
ঝিনাইদহ থেকে ছেড়ে আসা অ্যাম্বুলেন্সের চালক মেহেদী হাসান বলেন, ফেরির পকেটের কাছে থেকেও উঠতে পারলাম না ফেরিতে। আমার আগেই মোটরসাইকেল আর মানুষে ভরে গেছে ফেরি।
রোগীর স্বজন টুটুল শেখ ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, এখানে ঘাট কর্তৃপক্ষের কোন ব্যবস্থাপনায় নেই। যেখানে আগে অ্যাম্বুলেন্স গুলোর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী পার করার কথা সেখানে কি করে যাত্রী ও মোটরসাইকেল আগে উঠেয়।
উল্লেখ্য, করোনারোধে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ কমাতে ৮ মে শনিবার ভোর ৬টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটিসি)। তারই ধানাবাহিকতায় এই ২ টি ফেরি দৌলতদিয়া ঘাট ছেড়ে যায়। অপরদিকে পাটুরিয়া প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসে ১ টি। এই নিউজ লেখার আগ পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটে এখনো প্রায় শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি নদী পাড়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
(ঊষার আলো- এম. এইচ)