ঊষার আলো রিপোর্ট : পরিবহন ধর্মঘট এড়িয়ে বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতে দুইদিন আগেই বরিশালের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছে পটুয়াখালীর বিএনপি নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে পটুয়াখালী চৌরাস্তা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে বাসে করে সমাবেশের জন্য রওনা হয়েছেন অনেকেই।
ইতোমধ্যে অনেক নেতাকর্মী বরিশালে অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি। বিভাগীয় গণসমাবেশের একদিন আগে ৪ ও ৫ নভেম্বরের বরিশাল জেলা বাস মালিক ও শ্রমিকদের ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে পটুয়াখালীর বিএনপি নেতাকর্মীরা।
এদিকে গতকাল রাত ৮টায় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পটুয়াখালী বিএনপির নেতারা বলছেন, সমাবেশে যেতে বাস ও মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বাস মালিকরা অগ্রিম যে টাকা নিয়েছিল, তা ফেরত দিচ্ছেন। এসব করে গণসমাবেশ প্রতিহত করা যাবে না। এই জন্য সবাই আগে থেকেই বরিশালে পৌঁছে গেছে। বাকিরাও বিকল্প উপায়ে পৌঁছে যাবে। গণসমাবেশ কোনভাবেই থামানো যাবে না।
সদস্য আহ্বায়ক কমিটির জি এস বাচ্চু বলেন, ‘অনেক কষ্টে আমরা বরিশাল এসেছি। আওয়ামী লীগ যদি এতই গণতান্ত্রিক দল হয়, তাহলে পথে পথে বাধা কেন দিচ্ছে? বাধা দিয়ে কোনো লাভ নেই। আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেবেই।’
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, এ সরকারের পতনের দাবিতে সারাদেশ এখন আন্দোলনে উত্তাল এবং আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে সবাই যোগ দেবে। গত দুইদিন ধরে অনেক নেতাকর্মী বরিশালের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে অবস্থান করছেন। আজকের পর থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হবে এই জন্য আজ সকাল থেকে নেতাকর্মীরা বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
বরিশালে আগামী ৫ নভেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দলটি। সমাবেশের দুইদিন আগে আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার বাস ধর্মঘট আহ্বানের পর একই সময়ে থ্রি হুইলার বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। বরিশাল জেলা মিশুক, বেবিট্যাক্সি, ট্যাক্সিকার ও সিএনজি চালক শ্রমিক ইউনিয়ন বাস মালিক ও শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।
ঊষার আলো-এসএ