UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় জলাতঙ্ক নির্মূলে ছয় হাজার কুকুরকে টিকা প্রদান

usharalodesk
জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ ১০:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলে ব্যাপকহারে কুকুরকে তৃতীয় ডোজ জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী নগর জুড়ে এক সাথে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সাড়ে পাঁচ হাজার কুকুরকে এ টিকার আওতায় আনার টার্গেট থাকলেও টিকা দেয়া হয়েছে ৫৯৯১টি কুকুরকে। যা অর্জনের হার ৮৮%।

দু’শতাধিক জনবল ৩১টি ওয়ার্ডে এ টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করে।

নগরীতে মোট ৩৫টি টিম এক যোগে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টিকা শেষে তা সনাক্তকরনের জন্য কুকুরকে রং দেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম কেসিসির তৃতীয় পর্যায়ে। ২০১৪ সালে প্রথম দফা কেসিসি কুকুরকে টিকা দেয়। ২০১৯ সালে কুকুরকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হয়। এ সময় তারা ৩৬১০ কুকুরকে টিকার আওতায় আনে। ওই বছর মোট কুকুর ছিল ৪৪৩৫টি। ওই বছর ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী টিকা কার্যক্রম চলে। যা অর্জনের হার ছিল ৮০%। এবার অর্জনের হার ৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।

করোনার কারণে এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বন্ধ থাকে। তবে নতুন করে এবার আবার শুরু হয়েছে।

মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্দেশনায় কেসিসির ভেটেরিনারী বিভাগ এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বর মাসে কেসিসি কুকুর জরিপ কাজ শেষ করে।

নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে জরিপকৃত কুকুরের সংখ্যা ৬৮৩৪ বলে ভেটেরিনারি সার্জন ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস জানান, নগরীর সকল কুকুরকে টিকার আওতায় আনতে তারা গত পাঁচ দিনব্যাপী এক যোগে কুকুরকে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তা সফলভাবে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের চেয়ে তৃতীয় ডোজের হার বেশী। তৃতীয় ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে ৫৯৯১টি কুকুরকে।

ভেটেরিনারি সার্জন ড. পেরু গোপাল নিজেই মাঠে নেমে কুকুরকে টিকা প্রদান করেন। তাঁর ব্যাপক তৎপরতা আর মেয়রের সঠিক দিক নির্দেশনা এবার টিকা কার্যক্রমে বেশী সফলতা এসেছে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে জলাতঙ্ক মুক্ত করণের জন্য সকলের সহযোগিতা বড়ই প্রয়োজন। সকলের সহযোগিতা ছাড়া জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ করা অসম্ভব। এ জন্য তিনি এসব কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আর সহযোগিতা করছে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর। বাস্তবায়ন করছে কেসিসি। কুকুরকে এ টিকা দেয়ার পর এক বছরের মধ্যে কুকুর কাউকে কামড় দিলে তার জলাতংক রোগ হওয়ার কোন আশংকা নেই। এক বছরের জন্য নগরবাসী জলাতংক রোগের ভয় থেকে মুক্ত থাকবেন বলে এই কর্মকর্তা জানান।