UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইয়াস ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি বিএনপির

koushikkln
জুন ১২, ২০২১ ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : সরকার বলেছিলেন মানুষের নিরাপত্তা দিবে, উপকূলবাসিকে রক্ষা করবে, জীবন জীবিকা রক্ষা করবে কিন্তু ১১ বছরেও উপকূলবাসিদের রক্ষায় কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অবিলম্বে উপকূলবাসিকে রক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

তিনি আরো বলেন, প্রকৃতিক দুর্যোগে আর সরকারের উদাসিনতায় উপকূলীয় মানুষ দিনের পর দিন দরিদ্র সীমার নিচে নেমে আসছে। এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনের প্রাণীকূল বিলুপ্ত হচ্ছে। জাতীয় সংসদে আলোচনা করে উপকূলীয় লক্ষ লক্ষ মানুষের নিরপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার (১২ জুন) বেলা ১১টায় ঘূর্নিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত কয়রার ৫শত মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিনাঞ্চলের নিরন্ন আশ্রয়হীন মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানে গঠিত খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির ত্রান সহায়তা কমিটি দ্বিতীয় দফায় এ ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়।

জেলা বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মঞ্জু আরো বলেন, সরকারি উদাসীনতায় সময় মত উপকুলীয় অঞ্চলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মিত না হওয়ায় ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে বিলিন হয়ে গেছে দক্ষিণের জনপদ খুলনা-সাতক্ষীরার ৫ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের লক্ষ লক্ষ মানুষের ফসল, মৎস্য সম্পদ ও বসতবাড়ি। অথচ সরকারের সংশ্লিষ্ট পানি সম্পদ মন্ত্রী, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পদ মন্ত্রীসহ কেউই এখন পর্যন্ত সরেজমিন পরিদর্শনে আসেনি। তিনি বেড়িবাঁধ নির্মান, খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ ও পর্যাপ্ত খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করে সহায় সম্বলহীন বাস্তুহারা মানুষের পাশে থাকার জন্য সরকার ও জনগণের প্রতি আহবান জানান। এছাড়া ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে দ্রুত ত্রাণ তৎপরতা শুরু দাবি জানান। ত্রান বিতরণ পুর্ব আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর ত্রান কমিটির আহবায়ক সেকেন্দার জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, জেলা সদস্য সচিব মোল্লা খায়রুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগীর বিএনপির এড. বজলুর রহমান, এড. ফজলে হালিম লিটন, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মহিবুজ্জামান কচি, ইউসুফ হারুন মজনু, মেহেদী হাসান দিপু, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, তরিকুল ইসলাম তরু, মিজানুর রহমান মিলটন, শরিফুল ইসলাম বাবু, শেখ জামিলুর রহমান জামিল, রফিকুল ইসলাম টিটু, ম শ আলম, শামীম আশরাফ, রাজিবুল আলম বাপ্পী, শফিকুল ইসলাম শফি, মেজবাহুল ইসলাম পিন্টু, ইবাদুল ইসলাম প্রমুখ ও জেলা বিএনপির এড. মোমরেজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুল রশিদ, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, শেখ আবু হোসেন বাবু, জিএম কারুজ্জামান টুকু, এড. একেএম শহিদুল আলম, হাফেজ আবুল বাসার, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, শেখ হেমায়েত হোসেন, খন্দকার ফারুক হোসেন, শামসুল বারী পান্না, রাহাত আলী লাচ্চু, তানভিরুল আজম রুম্মান, এনামুল হক সজল, শাহানাজ ইসলাম, মিসেস মনি, রেহানা ইসলাম, হারুন গাজী, ইসরাইল বাবু, ইঞ্জিনিয়ার শোভন, বাইজিদ শেখ।