UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ বাজারে কেনাকাটার ধুম, স্বাস্থ্যবিধি উধাও

koushikkln
মে ১০, ২০২১ ৯:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : শেষ হয়ে আসছে সিয়াম সাধণার মাস পবিত্র মাহে রমজান। সোমববার (১০ মে) ছিল ২৭ রমজান। হাতে গোনা ঈদের বাকী মাত্র তিন দিন। মহানগরীর মার্কেটগুলোতে সর্বত্র ঈদকে ঘিরে কেনা কাটার ঢল নেমেছে। সমগ্র বাজার জুড়ে কেনা কাটায় ক্রেতা আর বিক্রেতার মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। ক্রেতাদের পদধূলীতে কানায় কান্নায় পরিপূর্ন প্রতিটি দোকান। কোথাও যেন পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত নেই। টানা এক মাস রোজা রাখার পর নতুন পোশাক পরে ঈদগাহ্ েযাওয়া আর পরিবার পরিজন সকলকে নিয়ে নতুন পোশাক উপহার দেওয়ার আনন্দটাই আলাদা, যে কারণে করোনা কালীন সময়ে শত অভাব আর অনাটন থাকা সত্ত্বেও বাজারে পোশাক কিনতে আসতে হয়েছে, ঈদ বলে কথা- এমনই বক্তব্য বাজারে আসা অধিকাংশ ক্রেতাদের। গত ১৪ এপ্রিল হতে শুরু হয় মাহে রমজান। আর সেই সাথে শুরু হয় সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউন। নির্দেশনা দেওয়া হয় সকল দোকানপাট, মার্কেট-শপিংমল বন্ধ রাখার। বন্ধ নির্দেশনা থাকলেও বাজারে চলছিল চোর পুলিশ খেলা। অবশেষে মার্কেট-শপিংমল খোলার নির্দেশনা দেওয়ায় ব্যবয়ীদের মধ্যে চোর পুলিশ আংতক কাটলেও হশাতা কাটাতে পারেনি। তবে সম্প্রতি সময়ে বাজারে ক্রেতাদের সীমাহীন আনাগোনা ব্যবসায়ীদের সেই হতাশার দিক কাটিয়ে ঊষার আলোর উদয় দেখিয়েছে। ঈদ বাজারে কেনা বেচায় ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীরা কিছুটা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে।
কারণ করোনার শুরু হতে কয়েক বার ঈদ অহিবাহিত হলেও এমন ক্রেতার মুখ দেখতে পাননি দৌলতপুরের ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে, সোমবার (১০ মে) বাজারে আসা ক্রেতাদের আগমণ সমগ্র বাজারকে মুখরিত করে তুলেছে। শাড়ি দোকান, জুতার দোকান, থ্রী-পিস কর্নার, শিশুদের বাহারী পোশাকের দোকান, ব্যাগের দোকান, খুশবুর দোকান, প্রসাধনীসহ দোকানগুলোতে চলছে কেনাবেচার মহাৎসব। মহিলা-পুরুষ, শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীদের আগমনে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। যদিও দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনার দ্বিতীয় প্রকোপের কারণে লকডাউন চলছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করেই সকলের কেনাকাটার চাপে সামাজিক কোন দূরত্ব বজায় থাকছেনা। যে কারণে থাকছে নতুন করে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি। বিশেষ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা মিলছেনা ক্রেতা বা বিক্রেতারা উভয় মুখে মাস্কের ব্যবহার। নগরীর বিপনগুলোতে সাজানো সারি সারি আধুনিক ডিজাইন আর বাহারী রং-বেরংয়ের পোশাক, জুতা-সেন্ডেল, প্রসাধনী, ব্যাগ, ব্যাল্ট বা ঘড়ি-চশমা অকৃষ্ট করছে ক্রেতা সাধারণকে। ক্রেতাদের বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম করছে ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিনই সকাল ১০ হতে কেনা বেচার কথা থাকলে ও বর্তমানে বাজারে ক্রেতা সমাগমে বাড়ার দারুন বিক্রেতারা সকাল সকাল দোকান খুলছেন এবং দীর্ঘ সময় ঘুরে ঘুরে ক্রেতারাও ঈদের পোশাক কেনা কাটা করছে। বাজারে ক্রেতা সমাগম বৃদ্ধি পাওয়ার দরুন ব্যবসায়ীরা আগেই তাদের প্রতিষ্ঠান খুলছে প্রতিষ্ঠান ক্রেতা পাণে। আর বর্তমানে সন্ধ্যার পর কথাই নেই, ত্রেতাদের ঢল নামে। দোকান বন্ধের আগ পর্যন্ত চলছে একেধারে কেনাবেচা।
নগরীর শপিংমল, মার্কেট গুলোতে শোভা পেয়েছে প্রিন্ট শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, গ্যাস সিল্ক, বেনারসি, জামদানী, সিল্ক, কাতান, ঝুট জামদানী। শার্ট-প্যান্ট, গেজ্ঞি ,পাঞ্জবি, ইন্ডিয়ান, থাই আর চায়না প্যান্ট, মেয়েদের লং গাউন, ছোটদের স্কার্ট, ফ্রক, আর টপস্ আর সু, সেন্ডেল, পেন্সিল সু, নাগড়া, চায়না সেন্ডেল, দুই ফিতা সেন্ডেল, সাইকেল সু, লুফার, বাচ্চাদের চায়না-থাই,কেস, সু-সেন্ডেল, প্রসাধনীর মধ্যে রয়েছে, কাঁকড়া, আইলিনার, মাসকারা, কানের দুল, কাজল, সেট, ক্রিম, পারফিউম, মেহেদী সহ বিভিন্ন ধরণের প্রসাধনী।
সকল আধুনিক বিপনীগুলোতেও ক্রেতাদের উপস্থিতি নজরকাড়ার মতো। মধ্যডাঙ্গা জিন্নাহ রোডের বাসিন্দা মাফিজুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছি; বাজারে এসেছি কেনাকাটা করার জন্য। কিন্তু বাজারে যে ভিড় তাই করোনা সংক্রমনের ভয়ে প্রবেশ করতে ভয় লাগছে।
অনেক ক্রেতাদের অভিযোগ বাজারে অধিক ক্রেতা দেখে বিক্রেতারা দাম বেশি হাকাচ্ছে। সবমিলিয়ে ঈদে এই পূর্ব মুহুর্তে ক্রেতা সমাগমে মুখরিত নগরীর সমগ্র বাজার। ক্রেতাদের আগমনে ব্যবসা করতে পেরে ব্যবসায়ীরাও খুশি।