UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খুলনায় শিল্প ও সংস্কৃতিক অঙ্গনে কর্মরত অসহায়দের সহায়তা প্রদান প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ

koushikkln
এপ্রিল ২৫, ২০২১ ৯:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অভিজিৎ পাল : খুলনায় দুঃস্থ অসহায়, প্রান্তিক, কর্মহীন শিল্পী, কলাকুশলী ও সাহিত্যকদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও কণ্যাল তহবিলের সহায়তা প্রদান প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শিল্পকলা একাডেমির সদস্য, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা শিল্পী, কলাকুশলি ও সাহিত্যিকরা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৫ এপ্রিল) এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক শিল্পী, কলাকুশলি ও সাহিত্যিকরা শিল্পিকলা একাডেমির খুলনা জেলা কার্যালয়ে প্রতিবাদ জানান। তাঁরা জেলা প্রশাসক ও জেলা কালাচারাল অফিসারের সাথে কথাও বলেন।
সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, গত ২২ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার খুলনায় ২৯৭ জন দুঃস্থ অসহায়, প্রান্তিক, কর্মহীন শিল্পী, কলাকুশলি, সাহিত্যিকদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এতে প্রকৃত কর্মহীন শিল্পী, কলাকুশলি ও সাহিত্যিক এবং নাট্যব্যাক্তিত্বদের বাদ দিয়ে এই তালিকা পাঠানো হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমী বলছে, শিল্পী, কলাকুশলি ও সাহিত্যিকদের ডাটাবেজ না থাকায় তাদের সংগঠনদের মাধ্যমে এটি করা হয়েছে। যার কারণে তথ্য পেতে সমস্যা হতে পারে। আর যারা বাদ পরেছেন তাদের পুনরায় আবেদন করার কথা বলছেন জেলা প্রশাসক।
খুলনার ব্যান্ড সংগীত শিল্পী রুবেল। গত বছর করোনার শুরু থেকে সকল ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ রয়েছে। ফলে কর্মহীন হয়ে একটি বছর পার করছেন তিনি। গত ২২ এপ্রিল শিল্পী কলাকুশলিরা সাহায্য পেয়েছে জেনে শিল্পকলা একাডেমীতে আসেন। তবে তিনি সহযোগীতা পাননি।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদের নেত্রী লুৎফর নাহার পলাশি বলেন, আমরা অনেকেই এই বিষয়টা জানতাম না যে, কবে আবেদন চেয়েছে আর কিভাবে আবেদন করতে হবে। পত্রিকার মাধ্যমে জেনে আমরা আজ এসেছি। আমাদের ব্যাপারে জানিয়েছি।
খুসাস এর শিল্পী হাফিজুল ইসলাম জানান, আমি শিল্পকলা একাডেমির সদস্য। আমার কাছে কোন নোটিশ বা ম্যাসেজ যায় নাই যে আমার সাহায্যের প্রয়োজন আছে কিনা। আমরা জানতে পেরেছি অনেকেই পাননি। তাহলে কারা পেয়েছেন আমরা সেটিও জানতে চেয়েছি।
নাট্যশিল্পী কামরুল ইসলাম কাজল বলেন, আমি চার বছর ধরে শিল্পকলা একাডেমির সদস্য। আমি একজন নাট্যশিল্পী। আমরা অনলাইন সম্পর্কে জানলেও আমরা অনলাইনে এমন ধরনের কোন তথ্য পায়নি। আমরা যে কয়জন সহায়তা পেয়েছে তাদের তালিকা চেয়েছি কালচারাল অফিসারের নিকট কিন্তু তারা তালিকা দিচ্ছেন না। তারা বলছেন যে তালিকা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে নিতে হবে। আমরা জেলা প্রশাসকের নিকটথেকে তালিকা নিয়েছি। তালিকাতে রূপান্তার নামের একটি এনজিওর প্রায় ৩০-৪০জন চাকরিজীবীর নাম দেখছি। আর অনলাইনে আবেদনের কথা থাকলে উপজেলা পর্যায় থেকে যে সকল শিল্পীরা সাহায্য পেয়েছেন তারা কিভাবে আবেদন করেছেন এটি নিয়ে সংশ রয়েছে। পুরো বিষয়টি আমাদের কাছে হাইড করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
জেলা কালচারাল অফিসার সুজিত কুমার সাহা বলেন, গত বছর করোনার কঠোর লকডাউনের মধ্যে এই তালিকা করা হয়েছে এবং অনলাইনে অনেক শিল্পী তৎপর নয় বলেই অনেকে বাদ পড়েছেন। তিনি বলছেন, আমরা শুধুমাত্র কর্মহীন হয়ে পড়া শিল্পীদেরই তালিকা প্রেরন করেছি। যারা বাদ পড়েছেন তাদের ব্যাপারে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, যারা বাদ পড়েছেন তারা আবেদন করলে পর্যায়ক্রমে অবশ্যই সরকারের পক্ষথেকে তাদের করোনাকালীন সময়ে সহায়তা করা হবে।
করোনাকালীন এই সময়ে খুলনায় প্রথমে একশতজন শিল্পী, কলাকুশলি ও সাহিত্যিকদেরকে ৫ হাজার টাকা ও পরবর্তীতে ২৯৭জনকে ১০ হাজার টাকা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।