UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দৌলতপুরে রমজানের কেনাকাটায় উপচে পড়া ভিড়, মানছে না স্বাস্থ্যবিধি

koushikkln
এপ্রিল ১৩, ২০২১ ৬:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : ১৪ এপ্রিল মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস শুরু হচ্ছে। সেই সাথে দেশে হুড় হুড় করে বেড়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণে সরকার ১৪ এপ্রিল হতে পুনরায় সাত দিনে কঠোর লকডাউনের ঘোষনা দেওয়ার কারণে দৌলতপুর বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
করোনা মহামারীর সংক্রমণ অতীতের দিনগুলোর রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার দরুন লকাডাউনের মাধ্যমে যে সংক্রমণ রোধের যে নেতিবাচক দিক বিবেচনা করা হচ্ছে বাস্তবে তার মানার কোন রুপ প্রবনতার দেখা মিলছেনা সাধারণ মানুষের মধ্যে। এমন চিত্র উঠে এসেছে দৌলতপুরের প্রায় সর্বস্তরে।
সরেজমিনে, ্আসন্ন রমজানের কেনাকাটায় দৌলতপুরের মুদি দোকানে, মাংস পট্টি, চালের দোকান, মুড়ি-চিড়া পট্টি, খাশি-মুরগীর পট্টি, ফলের বাজার, মাছের বাজার, কাঁচা মালের দোকান, দুধের দোকান, মিষ্টান্ন ভান্ডারসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়ে ক্রেতারা উপচে পড়া ভীড় করে। ক্রেতারা রমজানে প্রয়োজনীয় পন্য, ছোলা, মুড়ি, খেজুর, বিভিন্ন দেশীয় ফল, মাংস, চিড়া, মুড়ি, বেশন ইত্যাদি কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। বাজারের জনসমাগম দেখে অনেটাই ঈদের বাজার বলে মনে হচ্ছে।
করোনা কথা ভুলে গিয়ে মানুষ স্বাভাবিক দিনের মতোই মানুষের স্বাভাবিক চলাচল দেখা যায়। বিশেষ করে নজরকাড়া জনসমাগম পরিলক্ষিত হয়েছে দৌলতপুর খুচরা-পাইকারী বাজার, ট্রাফিক মোড়, বাজার সম্মুখ, বিভিন্ন শপিংমল, চাঁদনী পট্টি , রেলক্রসিং গেট সংলঘœ, বি.এল কলেজ সংলঘœসহ মহাসড়কে দিয়ে চলাচলরত সাধারণ লোকেরাদের মধ্যে।
দৌলতপুরের বাজার কেন্দ্রীক মানুষের এতই জনসমাগম ঘটছে যে দেখে বোঝার উপয় নেই, দেশে মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে সরকার কর্তৃক সাত দিনের লকডাউন চলছে। একেই তো জনসমাগম, অন্যদিকে অনেকের মুখে মাস্কই নেই। যদিও মাস্ক দেখা গেছে তবে সেটা মুখে নয়, থুতনিতে বা পকেটে।
ব্যবসায়ী আজাদ বলেন, লকডাউন আর রমজান এ দুয়ের কারণে আজ বাজারে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে উপচে পড়া ভীড় হয়। ব্যবসায়ী অনেকদিন পর বেশ ভালো বেচাকিনা করেছে। সকাল হতেই দোকানে ক্রেতা লেখেই আছে।
মাছ ব্যবসায়ী জয়নাল বলেন, পহেলা বৈশাখের কারণে ইলিশ মাছের দাম বেশি। কারণ রুপসা নতুন বাজার হতে বেশি দামে কেনা হয়েছে। বড় ইলিশ কেজি ১৬০০ টাকা, মাঝারি ১২০০ টাকা, আর ছোট ১০০০ টাকা কেজি। তবে বাজারে আসা প্রায় ক্রেতাই মাছের দাম বেশি বলে অভিযোগ করেন।
মাছ পট্টি ছাড়াও মুরগী ও গরুর গোসের দোকানে জনতার ঢল নেমেছে। লাইন দিয়ে দাড়িয়ে মাংশ কিনতে হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধির বেচা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক জানান, কোভিড-১৯ এর সংক্রমন রোধে বিগত যে সাত দিনের লকডাউন দেয়া হয়েছে তার বাস্তবায়নে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে শতাধীকের বেশি মামলা করা হয়েছে এবং বিগত সাত দিনের চেয়ে সরকারের নতুন করে ঘোষিত ১৪ এপ্রিল হতে আরো কঠোর ভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে তিনি জানান।