UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগরীতে ঈদ বাজারে স্বস্তি মিলছে না বেদের উৎপাতে

usharalodesk
মে ৯, ২০২১ ৯:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : একেতো ভ্যাপসা গরম। গরমে ঘাম ঝরছে। অন্যদিকে দেশে করোনার ভাইরাস সংক্রমনের দ্বিতীয় জোয়ারের কারণে চলছে লকডাউন। তবে করোনা আতংক উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের ঈদের কেনাকাটার দরুন নগরীর শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে পা রাখার মতো কোন জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। ভাবস্যা গরমের মধ্যে দীর্ঘ সময় ঘুরে-ঘুরে কেনাকাটার যে যন্ত্রনা বরং তার চেয়ে আরও যন্ত্রনা বেড়েছে বেদে মেয়েদের উৎপাতে। মহানগর মার্কেটগুলোর প্রবেশ পথসহ ফুটপাত দিয়ে চলাচলকারী তরুন-তরুনী, আর সকল বয়সী মানুষসহ মহাসড়কে ওপর লম্বা যানজটে আটকে পড়া যাত্রীদের চরম বিপাকে ফেলছে তারা। নানা রকম ভয়ভীতি আর অভিশাপসহ অকথ্য ভাষায় কথা বলছে। তবে এদের টার্গেট উঠতি বয়সের তরুন বা তরুনীদের ওপর। দু’পাঁচ টাকায় পরিত্রাণ মিলছে না। দিতে হচ্ছে সর্বনিম্ম ২০ থেকে ৫০ টাকা। সরেজমিনে, নিউ মার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, বড় বাজার, শপিং কমপ্লেক্স, জলিল টাওয়ার, আড়ং, সেইভ এন্ড সেইফ, খালিশপুর সুপার মার্কেট, ফুলবাড়ীগেট বাজার, শিরোমনি কেডিএ মার্কেট, শিরোমনি বাজার, বৈশাখী মার্কেট, ফুলতলা বাজার বনিক সমিতি মার্কেট, দৌলতপুর বাজার সম্মুখ, ট্রেট পুলিশ ফাঁড়ি সম্মুখ, মোর্ত্তজা ম্যানশন সম্মুখ, আফসান ম্যানশন সম্মুখ, আকাংখা টাওয়ার সম্মুখসহ সমগ্র ফুটপাত জুড়ে এদের দল বেধে অবস্থান দৃশ্যমান। এদের এই অবাধ বিচরণে ঈদে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাসহ সাধারণ পথচারী, উঠতি বয়সী তরুন-তরুনী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবিসহ সাধারণ মানুষেরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রিকশা, ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, যানজটে পড়া যানবহন গতি রোধ করে দাঁড়িয়ে এক কথায় চাঁদা আদায় করছে এ বেদেরা। এদের ভয়ে হেঁটে বা দৌড় দিয়েও কোন ফল মিলছে না। স্বজোরে এগিয়ে যাচ্ছে পিছু পিছু। এদের চাঁদা না দিয়ে পার পাওয়ার কোন উপায় নেয়। এদের অতিষ্টে বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষকে টাকা দিতেই হয়, নইলে আর এদের হাত থেকে রক্ষা নেই।
কোন এক সময় সাপের খেলা দেখিয়ে আর নানা কথায় ওষুধ বিক্রি করে এ বেদে সম্প্রদায়ের সংসার চলতো। কিন্তু বর্তামানে কায়িক শ্রম অবজ্ঞা করে সহজ রাস্তায় আয়ের লোভে এরা ‘চাঁদাবাজি’ পেশা বেছে নিয়েছে। অচিরেই এই বেদে সম্প্রদায়ে পাশবিক নিযার্তন, ভোগান্তি আর হয়রানীর হাত থেকে পরিত্রাণ চায় ঈদ বাজারে আসা ক্রেতা সাধারণসহ পথচারী, উঠতি বয়সী তরুন-তরুনী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবিসহ সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক এদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জোরালো দাবি জানিয়েছে দৌলতপুরের সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ।

(ঊষার আলো-এমএনএস)