UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লকডাউনে রিকসা শ্রমিকদের ত্রাণ সহায়তা ও ব্যাটারি রিকসার অনুমতির দাবি

koushikkln
এপ্রিল ১৮, ২০২১ ৩:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : চলমান করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে লকডাউনকালে ক্ষতিগ্রস্ত রিকসা ও ইজিবাইক শ্রমিকদের পরিবার প্রতি এক মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও নগদ ৫ হাজার টাকা ত্রাণ সহায়তা এবং ব্যাটারি চালিত রিকসার অনুমতির দাবিতে রবিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে রিকসা, ব্যাটারি রিকসা ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ খুলনা জেলা শাখা।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেনÑসংগঠনের উপদেষ্টা বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলÑবাসদ খুলনা জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নাণ্টু, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট খুলনা জেলা সভাপতি শ্রমিক নেতা আব্দুল করিম, কোষাধ্যক্ষ কোহিনুর আক্তার কণা, সংগঠনের খুলনা জেলা সদস্য আব্দুল হাই, ইলিয়াস আকন, শহীদুল সিকদার মনির, হারুনুর রশীদ, শেখ কবির, বাবুল শেখ প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, খুলনা নগরীর ৩০ সহ¯্রাধিক রিকসা ও ইজিবাইক চালক চলমান লকডাউনে দেশের সকল অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের মত কাজ হারিয়ে তীব্র আর্থিক অনটনে দিনাতিপাত করছে। দৈনিক আয়ের উপর তাদের সংসার চলে। বেশির ভাগ চালককে ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। দেশের প্রায় ৫ কোটি ১৭ লক্ষ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জীবনের আজ একই চিত্র। অথচ এই শ্রমজীবী মানুষের শ্রমের উপর ভিত্তি করে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঘটছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এই শ্রমজীবী মানুষদের জীবন রক্ষার্থে কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। গত বছর হতদরিদ্রদের জন্য ঘোষিত আর্থিক প্যাকেজের বেশিরভাগ এখনও বিলি হয়নি। যেটুকু বিলি হয়েছে তাতেও লুটপাট হওয়ার খবর এসেছে নিয়মিত। বিভিন্ন হিসাবমতে গত বছর করোনা মহামারীকালে নতুন করে আড়াই লক্ষের উপর মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে গেছে। বর্তমান সময় পর্যন্ত হিসাব করলে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি। বিপরীতে এ সংকটকালেও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজারের উপর। এতে প্রমাণ হয় চলমান সময়ও বৈষম্য কিভাবে বাড়ছে ! এমতাবস্থায় দেশের দুর্ভিক্ষের অশনিসংকেত দেখা যাচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতি দ্রুত সকল দিনমজুর শ্রমজীবী পরিবারের জন্য ত্রাণ সহায়তার বিকল্প নেই। অন্যদিকে খুলনা নগরীতে ব্যাটারি রিকসা অবৈধ ঘোষণা করেছে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। অথচ দিন দিন জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আয়ের সাথে ব্যয় সংকুলান কঠিন হয়ে পড়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে সপ্তাহের সবদিন রিকসা চালানো শারীরিকভাবে অসম্ভব। জীবনের তাগিদে বয়স্কদেরও রিকসা চালাতে হয়। এমতাবস্থায় আয় কিছুটা বাড়ানোর তাগিদে রিকসায় ব্যাটারি লাগিয়ে চালাচ্ছিল শ্রমিকরা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে সংসার চালানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে গেছে। রিকসা চালকরা বার বার দাবী জানিয়েছিল ব্যাটারি রিকসা বন্ধ না করে বিশেষজ্ঞ দিয়ে এর উপযুক্ত ডিজাইন ও নিরাপদ ব্রেক পদ্ধতি প্রণয়নের। একই সাথে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করে ব্যাটারি চালিত বাহণের লাইসেন্স প্রদান এবং নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আলাদা লেন চালু করার দাবী জানিয়েছিল শ্রমিকরা। কিন্তু তাদের দাবীর প্রতি কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করে রিকসা আটক, অতিরিক্ত জরিমানা আদায় ও ব্যাটারি জব্দ করছে।