UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগরীতে করোনা থেকে রক্ষা মিললেও রক্ষা মিলছেনা এনজিও’র ঋণ আদায়ে

usharalodesk
মে ৮, ২০২১ ৮:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : দেশে করোনার ভাইরাস সংক্রমনের দ্বিতীয় জোয়ারে ভাসছে সমগ্র দেশ। করোনা সংক্রমন রোধে সরকারের ঘোষিত টানা লকডাউন আর করোনার মহামারী এ হিংস্র থাবায় দেশের অর্থনৈতিক চাকা প্রায় অচল। টানা লকডাউন আর করোনার বেত্রাঘাতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে সমাজের নিম্নআয়ের মানুষগুলো। তারা আজ সর্বশান্ত প্রায়। বর্তমানে তাদের জীবনযাত্রা চলছে কোনোরকম টেনেটুনে। একেইতো নেই কোন কাঙ্খিত কর্ম, তারপর সামনে আবার ঈদ। ঈদ সম্মুখে মোটেও ভালো নেই সমাজের অভাবী মানুষগুলো। বর্তমান সময়ে ঘাড়ের ওপর রয়েছে এনজিও সংস্থাগুলোর ঋণের বোঝা, এ ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এনজিও বা ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে যেসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ব্যবসা করছেন অর্থমন্ত্রণালয়, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) এই সংকটময় মুহুর্তে সহনীয় পর্যায়ে কিস্তি আদায়ে আদেশ জারি করেছে বলে জানিয়েছেন আশার কর্মকর্তা। কিন্তু এই আদেশের সাথে নগরীর বিভিন্ন এলাকার কিস্তি আদায়ে বাস্তবে কোনও মিল নেই, এমনই একাধিক ব্যক্তির মন্তব্য এবং আদায়ের ক্ষেত্রে রয়েছে নানা অভিযোগ। দিনমজুর, শ্রমিক, রিক্সা, ইজিবাইক চালকসহ বহু পেশার মানুষ বিভিন্ন এনজিও হতে ঋণ গ্রহণ করেছে, তবে কর্মকর্তাদের চাপে করোনার এই দুর্দিনে কিস্তি পরিশোধ করতে দম বন্ধ হয়ে আসছে। খুলনা মহানগরীতে অর্থমন্ত্রণালয়সহ মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) অনুমোদনে রয়েছে বেশ কয়েকটি এনজিও। এর মধ্যে ব্রাক, আশা, ব্যুরো বাংলাদেশ, জাগরণী চক্র, সিএসএসসহ বেশ কয়েকটি এনজিও। তবে বর্তমান সময়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়েছে স্থানীয় অনিবন্ধিত দৈনিক আদায়ের কয়েকটি সংস্থা। আশার ঋণ গ্রহীতা আঞ্জুমান রোডের বাসিন্দা বাবুর্চি মনির। করোনার কারণে দীর্ঘদিন সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় চরম দুর্দিনে কাটছে তার সময়। তার স্ত্রী মায়া সপ্তাহে আশা এনজিও’কে এগারোশ’ টাকা কিস্তি দেন। মাত্র ৫০ টাকা কম দেয়াতে তাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে আদায়কারী।
অনেক গ্রাহকই বলছেন, বর্তমানে এনজিওগুলো সুকৌশলে কিস্তি আদায় করছে। এটা অনেকটাই ধরি মাছ না ছুই পানি। যে বাড়িতে বসে কিস্তি আদায় করা হচ্ছে সেই বাড়ির মালিককে দিয়েই গ্রাহকের টাকা আদায় করানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে অনেকে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগরীর আশা দৌলতপুর ব্রাঞ্চের ম্যানেজার চঞ্চল সরকার বলেন, আমাদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি থেকে ঋণ আদায়ে নির্দেশনা দেয়া আছে। আমরা কোনও জোর-জুলুম করে ঋণ আদায় করছি না। বরং স্বেচ্ছায় ঋণ গ্রহীতা যে পরিমান কিস্তির টাকা দিচ্ছে আমরা তাই গ্রহণ করছি।
তিনি আরও জানান, সামনে ঈদ তাই মানুষের টাকা প্রয়োজন। যারা সঞ্চয় নেবে, ঋণ নেবে, আমরা তাদেরকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি।

(ঊষার আলো-এমএনএস)