বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় করোনাকালিন ত্রান দেয়ার অজুহাতে বাড়ীতে প্রবেশ করে ষষ্ট শ্রেনীতে পড়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন করেছে স্থানীয় ইউপি মেম্বর ননী গোপাল বিশ্বাস(৪৫)। বাড়ীতে কেহ না থাকার সুযোগে জোর পূর্বক ধষর্নের শিকার ওই স্কুল ছাত্রী মনোকষ্টে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে থানা পুলিশকে জাননো হয়। আর এ ঘটনাটি রবিবার বেলা ১১ টার দিকে ঘটেছে উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামে। এঘটনায় মেয়েটির মাতা বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় একটি মামলা করেছেন।
আসামী ননী গোপাল বিশ্বাস স্থানীয় চরবানিয়ারি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে ওই ছাত্রীর পিতা সোমবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, রবিবার সকাল ১০ টার দিকে ননী মেম্বার আমার বাড়িতে এসে করোনা কালীন সাহায্য দেওয়ার কথা বলে আমার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও মোবাইল নাম্বার নিয়ে যায়। এরপর আমি ও আমার স্ত্রী কাজের জন্য বাইরে চলে যাই। ঘন্টা খানেক পরে বাড়ি ফিরে আমার স্ত্রী দেখে ঘরের আড়ায় ওড়না দিয়ে মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ননী গোপাল বিশ্বাস ফিরে এসে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে চলে যায়। তাই সে মনোকষ্টে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিল। মেয়েটি স্থানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য ননী গোপাল বিশ্বাসের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানা গেছে ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। চিতলমারী থানার ওসি (তদন্ত) ইকরাম হোসেন সেমাবার সকালে জানান, ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। আসামি গ্রেফতারের জন্য পুলিশ জোর চেষ্টা করছে।
(ঊষার আলো-আরএম)