UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিতু হত্যায় স্বামী বাবুল আক্তার জড়িত: পিবিআই

usharalodesk
মে ১২, ২০২১ ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।
এ তদন্ত সংস্থার প্রধান, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার ১২মে বুধবার ঢাকার ধানমন্ডিতে পিবিআই সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য বলেন।
তিনি বলেছেন, মিতু হত্যার সাথে বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পিবিআই। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। পরে তাকে আদালতে তোলা হবে।
এ মামলায় ১ নম্বর আসামি হবে তাঁর স্বামী ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। নতুন মামলার বাদি হতে পারে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।
তিনি জানান, পুরোনা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আজই আদালতে দেওয়া হবে। নতুন মামলার বাদি হতে পারে মিতুর বাবা।
বনজ কুমার বলেছেন, খ্যাতিমান পুলিশ অফিসার ছিলেন বাবুল আক্তার। অনেক কাজ করেছে। তাঁর স্ত্রীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে এটি পরিগণিত। বাবুল আক্তার বাদি হয়েছিলেন। পুরোনো মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ২ জন।
বনজ কুমার বলেন, বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা আসেনি। মহামান্য হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, কত দিন ঝুলে থাকবে। সে উত্তর খুঁজতে গিয়ে মামলা অন্যদিকে মোড় নেয়।
বনজ কুমার আরও বলেন, মামলার বাদিকে ইচ্ছা করলেই আটক করা যায় না। বাদিকে আটক করতে হলে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে হবে। খুলশী থেকে ফাইনাল রিপোর্ট জমা দিতে আজই কোর্টে যাচ্ছে পুলিশ। এটি দাখিলের পর নতুন মামলা হবে। মোশাররফ হোসেন বাদি হতে পারে। কথা বলা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। তাঁকে পিবিআই চট্টগ্রাম নিয়ে গেছে। নতুন মামলায় ১ নম্বর আসামি হবে বাবুল আক্তার।
পিবিআইয়ের প্রধান বলেছেন, ঘটনাস্থলে মুসাকে দেখা যায়। মুসা নিয়মিত বাবুল আক্তারের বাসায় যেত। তাঁর অনুপস্থিতিতে মুসা বাজারও করে দিত। পিবিআই জানার চেষ্টা করেছে, মুসা সোর্স ছিলেন কি না। এটাই পিবিআই প্রমাণের চেষ্টা করেছে। মিতু হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে জঙ্গি কার্যক্রমে আহত হন বলে দাবি করে বাবুল। মৃত্যুর পর যে আচরণ, তা ছিল আপনজন হারানোর মতো। তাই তাঁর কথা সবাই বিশ্বাস করেছিলেন।
বনজ কুমার বলেছেন, ‘পিবিআই বাবুলকে ঢাকায় ডেকেছিল। গত বৃহস্পতিবার বাবুল বলেছেন, উনি সোমবার নয়টায় আসবেন। বাবুল পিবিআইকে কিছু প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। বিষয়গুলো আইজিপিকে জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় ব্যাক করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে পিবিআই।
বনজ কুমার আরও বলেছেন, ‘নড়াইলে একটা লোককে আমরা পর্যবেক্ষণে নিই। তাঁর নাম গাজী আল মামুন। অপর বন্ধু সাইফুল হককেও পিবিআই ডাকে। ২ জনই বাবুলের বন্ধু। তাঁরা সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এর ভিত্তিতে পুরোনো মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

(ঊষার আলো- এম.এইচ)